সেলফি মানেই কি বিকৃত মুখ?

সেলফি তোলার সময় অনেকেই মুখ বিকৃত করে। বিশেষ করে তরুণীরা সেলফি তোলার সময় চোখ-মুখ বাঁকিয়ে ছবি তোলে। কিন্তু কেন? এতে কি সেলফির মান আরও বাড়ে? যদি বাড়ে তাহলে কীভাবে? আর যদি না বাড়ে, তাহলে কেন এমন করার প্রয়োজন হয়?

সাধারণত বলা হয়, আমাদের মুখ নাকি আমাদের চরিত্র প্রকাশ করে। মুখ দেখেই নাকি মানুষের মন বলে দেওয়া সম্ভব। তাহলে যে মুখ বেঁকে থাকে, সেই মুখের মনও যে বাঁকা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই আমাদের সেলফি তোলার কায়দা থেকে প্রমাণিত হয়।

সেলফি বা নিজের ছবি নিজে তোলার প্রচলন তো সেই ১৮৩৯ সালে রবার্ট কর্নিলিয়াস করেছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯০০ সালে এক মহিলা আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের ছবি নিজে তুলেছিলেন। অর্থাৎ, এই যে এখন সেলফি নিয়ে এত মাতামাতি হয়, তা মোটেই নতুন কোনও বিষয় নয়। যদিও তখন স্মার্টফোন আসেনি। যত দিন পেরিয়েছে, সমাজে পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন এসেছে আমাদের মনেও। পরিবর্তন এসেছে সেলফিতেও। মানুষের মনের মতো সেলফিও আজ সোজা থেকে বেঁকে গিয়েছে। আসলে সেলফি বাঁকেনি। মানুষের মন নিজের বিকৃত মনের সঙ্গে মিলিয়ে সেলফিকে বিকৃত করে দিয়েছে। তাই আবারও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতার লাইন সত্য বলে প্রমাণিত হল। তাঁরই মতো করে আমারও বলতে ইচ্ছে করছে। ‘সহজ সেলফি, যায় না তোলা সহজে’।



মন্তব্য চালু নেই