সেরা কিছু কাল্পনিক চরিত্র : যাদের সত্যিকারের কোন অস্তিত্বই নেই !

মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি এমন হতো, প্রতিদিনই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের নিয়ে আলোচনা হতো। সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, অনেক বিদ্বান কেউ কিংবা পথিকৃৎ কেউ। যাঁদের জীবনকাহিনি আমাদের অনুপ্রাণিত করবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা যা চাই, তা সচরাচর ঘটে না। আমরা এখানে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নিয়ে আলোচনা করবো, যে চরিত্রগুলো আমাদের মনোদেশে প্রভাব বিস্তার করে। কিন্তু তাদের কোনো অস্তিত্বই নাই।

বস্তুত আমরা এইসব কাল্পনিক চরিত্র দ্বারা বেশি প্রভাবিত হই, যারা সমাজে নিজেদের পথ তৈরি করে নিয়েছে। বাস্তবের বাইরের বাসিন্দা হওয়ায়, এই চরিত্রগুলোকে আমরা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারি ও ভালোবাসতে পারি।

বার্বি: এটা আশ্চর‌্যজনক যে, প্রত্যেক নারীরই ছেলেবেলার খেলার সঙ্গী পুতুল, তাদের অন্তরে একটা চিত্র অংকন করে থাকে। যদিও আপনি ভাবতে পারেন, বার্বি ডল হলো কোনো তরুণীর আদর্শ, যা একটু বেশিই অশুভকে প্রতিনিধিত্ব করছে, কিন্তু এর প্রতি কোনো মেয়েশিশুর টানকে আপনি কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবেন না।

সান্তা ক্লজ: সান্তা ক্লজকেই ক্রিসমাসের চেতনা হিসেবে মনে করে বিশ্বের অসংখ্য শিশু বেড়ে ওঠে। আর আপনি স্বীকার করুন আর নাই করুন, গোটা ক্রিসমাস উৎসবে সান্তা ক্লজের একটা গভীর প্রভাব রয়েছে।

শার্লক হোমস: কোনো কিশোর মনের ওপর বিশ্বখ্যাত এই ব্রিটিশ গোয়েন্দা চরিত্রের প্রভাব আপনি নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না। শার্লক হোমস সিরিজে আমরা তার যে রূপ দেখি, হ্যাট মাথায় ম্যাগনিফাইং গ্লাস নিয়ে ঘুরে বেড়ানো গোয়েন্দা, আমরা জানি, বাস্তবের গোযেন্দারা এমন হয় না। তবুও কিশোর মনন গঠনে এই গোয়েন্দা চরিত্র যথেষ্ট প্রতিপত্তিশালী।

রবিন হুড: ইংলন্ড ছাড়িয়ে গোটা পৃথিবীকেই নিজের শেরউড জঙ্গলের পেটে ঢুকিয়ে নিয়েছে ব্রিটিশ এই দস্যু চরিত্র। পরোপকারী মন, নিজের বিপদ উপেক্ষা করে নিপীড়িতের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানসিকতা কিশোর ও তরুণেরা তো এমন সব চরিত্র থেকেই অর্জন করে থাকে।

সূত্র : ললওয়াট।



মন্তব্য চালু নেই