সেরা ইনিংস লক্ষ্মণের, তালিকায় নেই শচীন

তাকে বলা হয় ক্রিকেটের বরপুত্র। টেস্ট ও ওয়ানডে ভার্সনে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছেন। আরও নানা জায়গায় রয়েছে তার রেকর্ড। কিন্তু গেল ৫০ বছরের সেরা দশ টেস্ট ইনিংসের তালিকায় জায়গা হয়নি শচীন টেন্ডুলকারের। অথচ সতীর্থ ভিভিএস লক্ষ্মণই করেছেন বাজিমাত। তালিকায় তার অবস্থান শীর্ষে।

ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব পোর্টাল ক্রিকইনফোর মাসিক অনলাইন সাময়িকী ক্রিকেট মান্থলির বছর শুরুর সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে গত আধা শতাব্দীর সেরা ৫০টি পারফরম্যান্সের তালিকা। বিশ্বজুড়ে ২৫ জন ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব, ক্রিকেট লেখক ও সাংবাদিক তাঁদের চোখে সেরা ১০টি পারফরম্যান্সের তালিকা জমা দিয়েছিলেন। তবে এই তালিকায় জায়গা হয়নি শচীনের।

অন্যদিকে সর্বাধিক ভোট পেয়ে গত ৫০ বছরের সেরা পারফরম্যান্স হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে ২০০১ সালের কলকাতা টেস্টে খেলা ভিভিএস লক্ষ্মণের সেই মহাকাব্যিক ২৮১ রানের ইনিংসটি। যে ইনিংসে ভর করে অবিশ্বাস্যভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিতেছিল ভারত ১৭১ রানে। অথচ ২৭৪ রানের ঘাটতি নিয়ে ফলোঅনে পড়েছিল ভারত। সেখান থেকে উদ্ধার করেন লক্ষ্মণের সেই দুর্দান্ত ইনিংস।
২০০১ সালে কলকাতা টেস্টে ২৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দ্রাবিড়ের সঙ্গে মাঠ ছাড়ছেন লক্ষ্মণ

ক্যারিবীয় কিংবদন্তী ব্রায়ান লারার একাধিক পারফরম্যান্স আছে এখানে। সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজটাউনে অপরাজিত ১৫৩ রানের সেই ইনিংস, যেটি আছে চার নম্বরে। সেরা দশে আছেন আরও দুই ক্যারিবীযয় কিংবদন্তি। তিনে মাইকেল হোল্ডিং, দশে গ্যারি সোবার্স। ইংল্যান্ডের আছেন দুজন। এর মধ্যে ইয়ান বোথাম একারই ​দুটি পারফরম্যান্স।

শ্রীলংকার হয়ে আছেন শুধু স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওভাল টেস্টে দুই ইনিংসে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

গত ৫০ বছরের সেরা দশ পারফরম্যান্স

১. ভিভিএস লক্ষ্মণ: ৫৯ ও ২৮১ (ভারত-অস্ট্রেলিয়া, কলকাতা, ২০০১)

২. ইয়ান বোথাম: ৫০ ও ১৪৯*; ৬/৯৫ ও ১/১৪ (ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, হেডিংলি, ১৯৮১)

৩. মাইকেল হোল্ডিং: ৮/৯২ ও ৬/৫৭ (ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ওভাল, ১৯৭৬)

৪. ব্রায়ান লারা: ১৫৩* (ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া, ব্রিজটাউন, ১৯৯৯)

৫. ইয়ান বোথাম: ১১৪; ৬/৫৮ ও ৭/৪৮ (ভারত-ইংল্যান্ড, মুম্বাই, ১৯৮০)

৬. রিচার্ড হ্যাডলি: ৫৪; ৯/৫২ ও ৬/৭১ (অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড, ব্রিসবেন, ১৯৮৫)

৭. বব ম্যাসি: ৮/৮৪ ও ৮/৫৩ (ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, লর্ডস, ১৯৭২)

৮. মুত্তিয়া মুরালিধরন: ৭/১৫৫ ও ৯/৬৫ (ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা, ওভাল ১৯৯৮)

৯. গ্রাহাম গুচ: ৩৪ ও ১৫৪* (ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেডিংলি, ১৯৯১)

১০. গ্যারি সোবার্স: ১৭৪; ৫/৪১ ও ৩/৩৯ (ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেডিংলি, ১৯৬৬)



মন্তব্য চালু নেই