সেন্টমার্টিনে আটকা পাঁচ শতাধিক পর্যটক

বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন অন্তত সাড়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে শুক্রবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে এসব পর্যটক আটকা পড়েছেন।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, পর্যটক মৌসুম হওয়ায় প্রতিদিনই বহু পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বহু পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে নৌযানগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। এ নিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গত ৮ মার্চ ও বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে অবস্থান করা পর্যটকরা টেকনাফ ফিরতে পারেননি।

শুক্রবারও (১০ মার্চ) বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা দেখিয়ে যেতে বলায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে সেখানে আটকা পড়ে অন্তত ৬ শতাধিক পর্যটক। তবে আটকা পড়া অন্তত শতাধিক পর্যটক শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় স্পীড বোট ও স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারযোগে টেকনাফ ফিরেছেন।

তিনি আরো জানান, আটকা পড়া পর্যটকরা দ্বীপের বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে অবস্থান করছেন। তাদের যাতে কোন ধরণের অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারে খাবার ও থাকার হোটেলসহ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হলে আটকা পড়া এসব পর্যটক ফিরতে পারবেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপের কারণে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলাচলকারি নৌযানগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মার্চ) রাত পর্যন্তও আবহাওয়ার পরিস্থিতির কোন ধরণের উন্নতি ঘটেনি।



মন্তব্য চালু নেই