সেই সাদা নারীর ছবিই কি ভূতের জলজ্যান্ত প্রমাণ?

বিশ্বের নানা দেশে বিভিন্ন সময় অনেকের ক্যামেরায় উঠে এসেছে ভূতের প্রমাণ, যার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এসব ছবির সত্যাসত্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বহু মানুষেরই শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায় এ ছবি দেখে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন এক প্রমাণ। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হবে কালের কণ্ঠে। আজ পাচ্ছেন তার নবম পর্ব।

হেই হলের সেই সাদা নারী

যুক্তরাজ্যের ল্যাংকেস্টারে এ ঘটনার সূত্রপাত বেশ আগে। তবে সেখানে এর বহু বছর পরেও রহস্যময় সাদা এক নারীর দেখা পাওয়া গেছে। জনশ্রুতি রয়েছে, এর মূল কাহিনী শুরু হয়েছে চতুর্দশ শতকে।

লেডি ম্যাবেল ব্র্যাডশেই ১৩১৫ সালে একজন নাইটকে বিয়ে করেন। তার নাম ছিল উইলিয়াম ব্র্যাডশেই। তবে রাজনৈতিক কারণে তিনি শাসকদের শত্রুতে পরিণত হন। শেষ পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর কেটে যায় বেশ কয়েক বছর। তাকে ফিরে আসতে না দেখে লেডি ম্যাবেল আবার বিয়ে করেন।

এরপর অবশ্য রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। ১৩১৫ সালে ব্র্যাডশেই তার বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর তাদের হেই হলের বাড়িতে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য একজন মানুষকে দেখতে পান। জানতে পারেন, তাকে তার স্ত্রী বিয়ে করেছেন। তবে সে সময় প্রচণ্ড বিবাদ হয় এবং এক পর্যায়ে ব্র্যাডশেই সেই ব্যক্তিকে হত্যা করেন।

এরপর ঘটনাটি সেখানেই শেষ হয়নি। নানা ঘটনায় শেষ পর্যন্ত লেডি ম্যাবেল ব্র্যাডশেইও মারা যান। আর এ মৃত্যুর ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে, জনশ্রুতি রয়েছে, মৃত্যুর পর থেকে সেখানেই রয়ে যায় তার আত্মা।

লেডি ম্যাবেল ব্র্যাডশেই প্রতিদিন ছয় মাইল হেঁটে কাছাকাছি একটি স্থানে যেতেন। তার মৃত্যুর পরও অনেকে সেই পথে তার সাদা ধবধবে ছায়ামূর্তিকে যাতায়াত করতে দেখেছেন। সে সময় অনেকেই তাকে ভয়ঙ্কর চেহারায় দেখেছেন। তবে তিনি জীবিত থাকতে কখনোই এত ভয়ঙ্কর ছিলেন না। তবে জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি খুবই অসুখী ছিলেন। আর এ কারণেই হয়ত তার চেহারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল।
তবে তার সেই ছায়ামূর্তি দেখে ভয় পেলেও বাস্তবে তিনি কারো ক্ষতি করেছেন বলে জানা যায়নি। এ কারণে সেখানে স্থানীয়রা বিষয়টি জানলেও অনেকটা সহ্য করে নিয়েছিলেন। তার সেই ছায়ামূর্তি দেখা কেউ তার মুখের দিকে তাকানোর সাহস পেত না। তবে একবার ক্যামেরায় সে দৃশ্যের ছবি তুলেছিল এক ব্যক্তি। সে ছবিতেও উঠে এসেছে তার অবয়ব। যদিও তার চেহারাটি সেভাবে বোঝা যায় না- মানুষের নিকট রহস্যই থেকে যায় সে ঘটনা।



মন্তব্য চালু নেই