সেইন্টফিট হচ্ছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ?

অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হতে যাচ্ছেন বেলজিয়ান কোচ টম সেইন্টফিট। বৃহস্পতিবার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল দেখতে এসে এ কথা নিজের মুখেই বলেন ৪৩ বছর বয়সী সেইন্টফিট। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এখনো তাকে কিছু জানায়নি।

ফেডারেশন কাপের ম্যাচ দেখতে এসে সেইন্টফিট বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি বাংলাদেশের কোচ নই। কারও সঙ্গে কোনও কথাবার্তাও হয়নি। আমি এখানে এসেছি কিছু ম্যাচ দেখতে। এরপর আমি বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর ও সভাপতির সঙ্গে কথা বলবো। এরপর হয়তো আমার ভাগ্য পরিবর্তন হতেও পারে।’

টোগো, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, ইয়েমেনের মত দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন সেইন্টফিট। মধ্যপ্রাচু এবং আফ্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নেই তার। ২০০৪ সাল থেকেই বাংলাদেশকে নিজের নজরদারিতে রেখেছেন এই কোচ। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি সেই ২০০৪ সাল থেকেই বাংলাদেশ ফুটবলকে অনুসরণ করি, খোঁজ খবর রাখি। ডাচ কোচ ডি ক্রুইফ কী করছে। আর কেমন হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। আর আমি একজন অভিজ্ঞ ফুটবল কোচ। বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। আর এ মুহূর্তে বিস্তারিত বেশি কিছু বলার নেই।’

বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কেই প্রতিনিয়ত খবর রাখতেন সেইন্ডফিট। এদেশের ফুটবল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনেকরি বাংলাদেশ এ মুহূর্তে যে অবস্থানে আছে তারচেয়ে অনেক উঁচুতে থাকার যোগ্যতা রয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের সাফে ফলাফল ভালো হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১০ সালে জিতেছে এসএ গেমস স্বর্ণ পদক। এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশের যোগ্যতা আছে। আমি দায়িত্ব নিলে বাংলাদেশের ফুটবলে আবার সাফল্য নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।’

১৯৯৭ সাল থেকে কোচিং করিয়ে যাচ্ছেন এই বেলজিয়ান কোচ। নিজের ফুটবল অধ্যায় সম্পর্কে বলেন, ‘আমি মধ্য প্রাচ্যে ও আফ্রিকায় কোচ হিসেবে কাজ করে সুনাম অর্জন করেছি। এটাও ঠিক আমি বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কাজ করেছি। এরমধ্যে মালাওয়ির হয়ে এক ম্যাচের জন্যও কোচ হয়েছি। আর মালাওয়ি ফেডারেশনের সভাপতি আমার বন্ধু। আমাকে দীর্ঘ মেয়াদীভাবে রাখার আর্থিক সক্ষমতা তাদের ছিল না। নামিবিয়ায় আড়াই বছর ছিলাম, সেটি ছেড়ে আমি জিম্বাবুয়ে চলে যাই যেটি হয়তো ভুল ছিল।’



মন্তব্য চালু নেই