সুস্বাস্থ্যের জন্য বাচ্চাকে দিন আলাদা বিছানা

আপনি সঙ্গে ঘুমালে বাচ্চার প্রয়োজনে জেগে উঠতে পারবেন সহজেই। যেকোনো আসুবিধায় তাৎক্ষনিকভাবে বাচ্চাকে দিতে পারবেন সমাধান। এমন চিন্তাতেই বাবা-মা তার আদরের সন্তানকে নিজেদের বিছানায় রেখে রাতে ঘুমান। কিন্তু শিশুর বয়স ১৮ মাস হওয়ার পরে তাদের আলাদা বিছানায় ঘুমাতে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

নরওয়ের মাদার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা শিশু এবং মা বিষয়ক প্রায় ৫৬ হাজার প্রতিবেদন এক গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে রাখলে শিশুদের ঘুমের অসুবিধা হয়। ফলে দিনের বেলায় তারা অস্বস্তিতে থাকে। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায়ও ভুগতে পারে।

নরওয়ে ইউনিভার্সিটি অব বারগেনের মনোবিশেষজ্ঞ ডা. মেরি হাইসিং বলেন, দেখা গেছে যেসব শিশু বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমায় তাদের রাতে কম ঘুম হয়। মাঝে মাঝেই শিশুর জেগে ওঠার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। গবেষণার অন্তর্ভূক্ত এক-তৃতীয়াংশ শিশু যারা ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছে, পরবর্তীতে তাদের রাতে বারবার জেগে যাওয়ার প্রবণতা প্রবল হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য শিশুদের তুলনায় তারা অনেক কম ঘুমায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৫৫,৮৩১ জন মা অভিযোগ করেছেন তাদের সন্তান রাতে বারবার জেগে যায় এবং তুলনামূলক কম ঘুমোয়।

ডা. হাইসিং এ অভিযোগের উত্তরে বলেন, ছয় মাস বয়স পর্যন্ত যখন শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খায় তখন রাতে জেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে আলাদা বিছানায় ঘুমালে রাতে জেগে ওঠার সমস্যা আর থাকে না।



মন্তব্য চালু নেই