সুস্থ হার্টের জন্য খান এই মসলাগুলো

আধুনিক বিজ্ঞান মসলার চূড়ান্ত ক্ষমতা উন্মোচন করা শুরু করছে যা কিনা ক্যান্সার থেকে শুরু করে আলঝেইমার্স পর্যন্ত যে কোন প্রকারের অসুস্থতার বিরুদ্ধে অস্ত্রের মতোই কাজ করে। হার্টের কথা আসলেই আমাদের ছোট্ট একটি ভালবাসার প্রতীকের কথাই মনে হয়। কিন্তু হার্ট আসলে একটি শক্তিশালী পেশী যা ধমনী ও শিরার মাধ্যমে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন করে। রক্তের মাধ্যমেই সারাদেহ অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে এবং শরীরের বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যেতেও কাজ করে রক্ত।

হৃৎপিণ্ড ২৪ ঘন্টাই কাজ করতে থাকে, ১ মিনিটের জন্যও বিশ্রাম নেয়না। তাই হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদের এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিৎ। মসলা শুধুমাত্র খাবারের স্বাদই বৃদ্ধি করেনা বরং এর পুষ্টি উপাদান হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও দারুণ ভাবে কাজ করে। হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী কয়েকটি মসলার কথাই জেনে নিব আজ।

১। রসুন

কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল যা রসুন গ্রহণের মাধমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রসুনে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যালিসিন থাকে যা কেবল কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপই কমায় না বরং প্লাটিলেটের সংখ্যাবৃদ্ধিও দমন করে। এভাবেই হৃদরোগের বিপরীতে হৃৎপিণ্ডকে সার্বিক সুরক্ষা প্রদান করে রসুন।

২। হলুদ

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমায়। রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হলুদ। এছাড়া প্লাটিলেটের সংখ্যাবৃদ্ধিও দমন করে ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায় হলুদ যা দীর্ঘমেয়াদী হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

৩। আদা

আদা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি এজেন্ট যাতে ফেনোলিক যৌগ থাকে। এই উপাদানটি হৃৎপিণ্ডে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপনার খাদ্যতালকায় আদা যুক্ত করলে শুধুমাত্র খারাপ কোলেস্টেরলই কমাতে সাহায্য করে তাই না বরং কার্ডিওভাস্কুলার ডিজঅর্ডার প্রতিরোধ ও নিরাময়েও সাহায্য করে।

৪। গোলমরিচ

গোলমরিচে পিপেরাইনের উপস্থিতি হৃদপিণ্ডের সুরক্ষার জন্য কাজ করে। এটি শুধু অক্সিডেটিভ ক্ষতির বিরুদ্ধেই কাজ করেনা বরং হাইপোলিপিডেমিক প্রভাবও দেখায়। এছাড়াও ভেনাডিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডের কাজের উন্নতি ঘটায় এবং মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন থেকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে গোলমরিচ।

৫। দারুচিনি

দারুচিনির ক্বাথ করোনারি ব্লাড ফ্লো বৃদ্ধি করার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। দারুচিনির নির্যাস অ্যান্টিহাইপারকোলেস্টেরোলেমিক কাজ করে যা সিরামের ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল কমতে সাহায্য করে।

৬। ধনিয়া বীজ

শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিডেন্ট ও হাইপোলিপিডেমিক অ্যাকশন ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষা প্রদান করে। এছাড়াও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটায়। এভাবেই কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ধনিয়া।



মন্তব্য চালু নেই