সুরিটোলা কেন্দ্রে বিক্ষোভ-ভাঙচুর, ভোট স্থগিত

ভোট দিতে না পেরে ক্ষুব্ধ ভোটাররা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুরিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ নম্বর কেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজের গাড়িতে জুতা নিক্ষেপও করেন তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শওকত আলী প্রথমে বলেন, উপরের নির্দেশে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

পরে আবার তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মুর্শেদের নির্দেশে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

লুৎফর রহমান লেনের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজ, আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজ ভূঁইয়া, মো. হাসান, মো. সুলতান ও মো. বেলাল জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বংশাল থানার এই কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন শতাধিক ভোটার। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি। কেন্দ্র থেকে ভোটারদের জানানো হয়, ব্যালট বাক্স নেই। পরে ভোটারদের চাপে ভোট দেওয়া শুরু হলেও অধিকাংশ ভোটারই দেখেন, তাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।

এ সময় ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করলে ভোট দেওয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে ক্ষুব্ধ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের ব্যালেট বাক্স ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন তারা। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করলেও ভোটারদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। অনেককে ‘ভোট চোর’, ‘ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

বিক্ষোভরতরা বলেন, সকালেই ব্যালেটে আমাদের ভোট ঢোকানো হয়ে গেছে। তাই আমরা ভোট দেওয়া হতে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এ অন্যায় মেনে নেব না।

এদিকে কেন্দ্র পরিদর্শনে এলে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজের গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ করেন ভোটাররা। অন্যদিকে ভোটারদের রোষানল থেকে বাঁচতে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শওকত আলী নিজেকে তার রুমে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।

সকাল থেকে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী জানান, সকালে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। পরে কেন্দ্র থেকে বেরোনো দু’জন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ভোট না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, এ ব্যাপারে প্রিসাইডিং অফিসার জানাবেন।



মন্তব্য চালু নেই