সুন্দরবনে আগুন: কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ৩

বাগেরহাট: সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন এলাকায় দু’দফা আগুন লাগায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাংলী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও দুই বনকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

দুই বনকর্মী হলেন- একই টহল ফাঁড়ির দুই বোটম্যান মোবারক হোসেন ও পলাশ মজুমদার।

এছাড়া ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) সুলতান মাহমুদ হাওলাদারকে ধানসাগর স্টেশন থেকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ অফিসে বদলি করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী টহল ফাঁড়ি এলাকার পঁচাকোরালীয়া ও নাপিতখালী বিলের মধ্যবর্তী আব্দুল্লার ছিলার গহীন অরণ্যে এ মাসে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে দু’দফা নাশকতার আগুনে পুড়ে যায়। ১৩ এপ্রিল ধরিয়ে দেয়া আগুন তিন দিন ধরে জ্বলতে থাকে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার মাত্র চার দিনের ব্যবধানে একই এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ১৮ এপ্রিল ভোরে ফের আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।

নাশকতার এই আগুনের ঘটনায় সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের আদালত ও শরণখোলা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। মামলা দুটিতে ১১ জনকে আসামি করা হয়। তবে, শরণখোলা থানা পুলিশ সুন্দরবনে নাশকতার আগুনের মামলার কোনো আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

স্থানীয়দের তথ্য মতে, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন এলাকায় অসাদু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের বিভিন্ন বিল অর্থবাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ্য উপায়ে মাছ চাষ করতে বনসন্নিহিত লোকালয়ের মৎস্য চাষীদের সুযোগ করে দেয়। এর মাধ্যমে কয়েকটি অসাধু মৎস্য শিকারি চক্র বর্ষা মৌসুম আসার আগে বিলগুলো পরিস্কার ও সহজে কারেন্ট জাল পাতার স্থানগুলো প্রস্তুত করতে পরিকল্পিতভাবে সংরক্ষিত সুন্দরবনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে থাকে।



মন্তব্য চালু নেই