সুটকেসে বয়ফ্রেন্ড!
ফাতিমা রুনা : ভালোবাসার জন্যে মানুষ কত কিছুই না করে দেখিয়েছেন দুনিয়ায়। প্রেম ও ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে অনেক অসাধ্য সাধন করে কেউ কেউ অনন্য রেকর্ডও করে ফেলেছেন। প্রেমিক চোর বা ডাকাত যাই হোক তবু সে ভালোবাসার অধিকার হারায় না প্রেমিকার কাছে। শতবাঁধা তুচ্ছ হয়ে যায় প্রেমের কাছে।
সম্প্রতি ভালোবাসার টানে দুঃসাহসিক কান্ড ঘটিয়েছেন ভেনেজুয়েলার এক নারী। জেলখানায় বন্দী থাকা ভালোবাসার মানুষটিকে ফিরে পেতে অবলম্বন করেন অভিনব উপায়। তিনি তার বয়ফ্রেন্ডকে জেল থেকে পালাতে সুটকেসের ব্যবহার করেন। সুটকেসের ভেতরে প্রেমিককে ঢুকিয়ে তা টেনে জেলের বাইরে নিয়ে যাবার প্লান করেছিলেন প্রেমিকা। তারা পালিয়ে যেতে প্রায় সফলও হয়ে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে জেলের গার্ডদের সন্দেহে বয়ফ্রেন্ড সমেত সুটকেস নিয়ে ধরা পরেন দুজনেই।
২৫ বছর বয়সী এই নারীর বয়ফ্রেন্ড গাড়ি চুরির দায়ে নয় বছর আট মাসের জন্যে জেল খাটছিলেন বার্সেলোনার পুয়েন্তে আয়লা জেলখানায়।
এন্টোনিয়েতা রোব্লেস সাউদা নামের এই নারী সম্প্রতি জেলখানায় যান তার বয়ফ্রেন্ড জোসে এন্টোনিও আঞ্জোতেগুই কে দেখতে। সঙ্গে নিয়ে যান ছয় বছরের মেয়ে আর একটা বড় সাইজের গোলাপি রঙের সুটকেস যা, দক্ষিণ আমেরিকার জেলখানায় পরিবার নিয়ে রাত কাটানোর জন্যে মোটেই অস্বাভাবিক ছিল না।
সবকিছুই তাদের পরিকল্পনা মাফিক নিখুঁত চলছিল কারণ উজ্জ্বল গোলাপি রঙের সুটকেসটা গার্ডের সন্দেহের সৃষ্টি করেনি। কিন্তু শেষমেশ সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় যখন পরের দিন গার্ড দেখতে পায় যে, জেলে ঢোকা হালকা সুটকেসটা টেনে নিতে সাউদা খুব কষ্ট করছে জেল গেট পার হওয়ার সময়।
তারা সাউদাকে বাধ্য করে সুটকেস খুলে দেখাতে যে ভেতরে এমন কি আছে যা এত ভারী। পরবর্তীতে সুটকেসের চেইন খুলে দেখা যায় যে জোসে এন্টোনিও দলা পাকিয়ে গোল হয়ে কাপড়ের ভেতরে শুয়ে রয়েছেন। পুয়েন্তে আয়লার কর্মীরা পুনরায় সাউদার গাড়ি চোর প্রেমিককে আবারো জেলে পাঠিতে দেন, সঙ্গে কয়েদি চুরির চেষ্টায় সাউদাকেও গ্রেফতার করা হয় আর তাদের ছয় বছরের ছোট্ট মেয়েটিকে সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দেয়া হয়।
সাউদা যদি ফিটনেস সেন্টারে বা জিমে গিয়ে তার শক্তি বাড়িয়ে নিতেন তাহলে হয়তো আজকের এই জেলের প্রেমিক ও প্রেমিকার গল্প পুরোপুরি ভিন্ন রকম হতো।
মন্তব্য চালু নেই