সুখী মানুষেরা এড়িয়ে চলেন যে কাজগুলো
অনেককে বলতে শোনা যায়, সুখ তুমি কার? সুখ কি আসলে একজন অথবা কোনো একটি নির্দিষ্ট কিছুর উপর নির্ভর করে? আমরা মনে করি ভাগ্য, পরিস্থিতি, টাকা ইত্যাদি বিষয়গুলোই সুখী হওয়ার প্রধান নিয়ামক! কিন্তু আসলেই কি তাই? ছোট ছোট কিছু কাজ দিয়েও আপনি সুখী হতে পারেন। মজার বিষয় হলো, অসুখী মানুষেরা এমন কিছু কাজ করে থাকেন, যা সুখী মানুষেরা করেন না। চলুন, জেনে নিই সত্যিকারের সুখী মানুষেরা কোন কোন কাজগুলো এড়িয়ে চলেন।
১। স্যোশাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করেন না
কিছুটা অবাক শোনালেও এটি সত্যি সুখী মানুষেরা স্যোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন। স্যোশাল মিডিয়ার যেমন ভাল দিক আছে তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও কম না। তারা স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করলেও সেটি সীমার মধ্যে রাখেন। ঘণ্টা পর ঘণ্টা তারা স্যোশাল মিডিয়া সময় নষ্ট করেন না। হ্যাপিনেস রিসার্চ ইন্সটিটিউট এক গবেষণায় দেখছেন যে, শতকরা ৩৯ মানুষ যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন না, তারাই বেশি সুখী যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তাদের তুলনায়।
২। অন্যের সাথে তুলনা করেন না
সুখী মানুষেরা অন্যের সাথে নিজের তুলনা করেন না। তুলনা কখনও আপনাকে অন্য কারোর জায়গায় নিয়ে যাবে না অথবা এটি আপনার জীবনে সাফল্য এনে দেবে না। বরং আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে। একজন সুখী মানুষ অন্যের সাফল্যে খুশি হয়ে ওঠেন, যেখানে একজন অসুখী মানুষ তাকে হিংসা করতে শুরু করে। “অসুখী মানুষেরা ছোট পৃথিবীতে বসবাস করে এবং অন্যের সফল হয়াকে ভয় পায়, নিজের অবস্থান হারানোর ভয়ে থাকে সর্বদা”- মনোবিজ্ঞানী Lynn D. Johnson এমনভাবে অসুখী মানুষদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেন।
৩। নেতিবাচক মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলা
সুখী মানুষেরা নেতিবাচক মানুষদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেন। কারণ তারা জানেন নেতিবাচকতা ছোঁয়াচে। নেতিবাচক মানুষদের চিন্তা ভাবনা তার নিজের ভিতর চলে আসে, যা তার জীবনকে নেতিবাচক ভাবেই প্রভাবিত করে।
৪। প্রথমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা
কোন ঘটনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জেনে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে পরে সেটি নিয়ে অনুতাপ করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। তাই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিন্তা করুন, তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
৫। অন্যরা কী ভাবলো সেটা চিন্তা করেন না
আপনি যদি সবসময় আপনার চারপাশের মানুষকে নিয়ে চিন্তা করেন। তাদেরকে খুশি করার চেষ্টা করতে থাকেন, তবে আপনি নিজে কখনোও সুখী হতে পারবেন না। অন্যরা কী ভাবলো সেটা নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধ করুন। নিজেকে নিজের জীবনকে গুরুত্ব দিন।
৬। অতীত নিয়ে চিন্তা না করা
অতীতকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। এটি আমাদের জীবনের একটি অংশ। কিন্তু তাই বলে অতীত নিয়ে পড়ে থাকা উচিত নয়। অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তাঁকে ভুলে যান সুখী মানুষেরা, কখনোই অতীত নিয়ে অধিক নাড়াচাড়া করতে যান না।
৭। ছুটি নিতে ভোলেন না
কাজ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই কাজ থেকে কিছুটা সময় ছুটি নিতে ভোলেন না সুখী মানুষেরা। সারাদিনের কাজের মাঝে কিছুটা সময় গল্প করুন, আড্ডা দিন। এটি কাজের একঘেয়েমি কাটাবে। তার পাশাপাশি নতুন করে কাজের শক্তি দেবে।
জীবনে চলার পথে ঝড়-ঝাপটা, সমস্যা আসবে, তাই বলে হার মেনে অসুখীদের দলে চলে যাওয়া উচিত নয়। সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে। জীবনকে জটিল করে না দেখে সহজ করে দেখুন। দেখবেন আপনিও সুখী মানুষদের একজন।
মন্তব্য চালু নেই