সুখী থাকতে চাইলে এই ৪ গোপন কথা ভুলেও কাউকে বলবেন না
ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না’। প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির বিখ্যাত উক্তি। সত্যিই তো, মুখ থেকে কথা আর হাত থেকে ঢিল একবার বেরিয়ে গেলে তা আর ফেরত আসে না। তাই কথা এবং কাজের আগে সব সময় ভেবে করতে হয়। চাণক্য বা কৌটিল্য এ ব্যাপারে ৪টি কাজের একটি তালিকা বলে গিয়েছেন, যা কখনও কারও সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়। আলোচনা করলে ফল কী হতে পারে, তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানবেন। দেখে নিন সেই তালিকা।
১।আর্থিক ক্ষতি প্রথমেই তিনি বলেছেন, আর্থিক ক্ষতি যদি হয়, তবে তা কারও সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়। কারণ হিসাবে তিনি লিখেছেন, সকলেই শুনবেন তবে কেউ সাহায্য করবেন না। উল্টো আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু মানুষ জেনে যাবেন। ফল হবে, তাঁরা আপনার দুর্বলতার সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করবেন। এ সময়ে যদি কেউ সাহায্য করার কথা বলে, জানবেন তিনি মিথ্যা বলছেন। চাণক্য আরও লিখেছেন, এ সমাজে দরিদ্র ব্যক্তিকে কেউ সম্মান করে না। তাই সম্মানহানিরও আশঙ্কা থাকে।
২। ব্যক্তিগত সমস্যা আর্থিক ক্ষতির মতো ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও কারও সামনে আলোচনা করা উচিত নয়। চাণক্য লিখছেন, যাঁরা নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে বাইরের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাঁদের মাথা নিচু করতেই হয়। কারণ যাঁদের সহ্গে আলোচনা করা হবে তাঁরাই একদিন অপমান করবে। শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর সম্পর্কে রসাল আলোচনা, হাসি-তামাশা করা হবে।
৩। স্ত্রীর চরিত্র সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে এই বিষয়টি দেখিয়েছেন চাণক্য। তিনি লিখছেন, স্ত্রীর সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন কথা মুখ ফস্কে বেরিয়ে যেতে পারে যা হয়তো বলতে চাওয়া হয়নি। তবে একবার কথা বেরিয়ে গেলে তা নিয়েই গুঞ্জন শুরু হবে। ক্রমে তা বড় আকার নেবে। পরিণামে যা কখনও ভালো হয় না। তাই নিজের স্ত্রী-র চরিত্র সম্পর্কে কখনও কারও সামনে আলোচনা করা উচিত নয়।
৪। অশিক্ষিত ব্যক্তির অপমান যদি কখনও অশিক্ষিত ব্যক্তির কাছে অপমানিত হন তা কখনও কারও সঙ্গে আলোচনা করবেন না। চাণক্য লিখছেন, যদি এ কথা আলোচনা করেন মানুষ আপনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে ঠাট্টা-তামাশা করবে। যা আপনার আত্মসম্মানের পক্ষে হানিকর হবে। ক্রমে নিজের ওপর বিশ্বাস হারাতে থাকবেন।
মন্তব্য চালু নেই