সুইস ব্যাংকের টাকা নিয়ে বিএনপির ভয় কেন? : সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত

‘সুইস ব্যাংকের টাকা নিয়ে বিএনপির নেতাদের এতো ভয় কেন’ প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, ‘সুইস ব্যাংকের টাকা কাদের সেটা আমরাও জানি না তারাও (বিএনপি) জানে না। ফখরুল সাহেব, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

সোমবার দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সুরঞ্জিত বলেন, ‘ফখরুল সাহেবের বক্তব্য হচ্ছে এমন, ঠাকুর ঘরে কেরে, আমি কলা খাইনি প্রবাদের মতো।’

তিনি বলেন, ‘পূর্বেও সরকার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টাকা ফেরত এনেছে। এবারও যেহেতু সরকারের দায়িত্ব তাই সরকার এটা স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করবে। আমি খুশি এই জন্য যে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি এই টাকা ফেরত আনার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সুইস ব্যাংকে ৮০০ মিলিয়ন বাংলাদেশি টাকা পাচার করা হয়েছে। একথা ইউএনডিপি প্রকাশ করেছে। তারা তো বলেনি এই টাকা রাজনীতিবিদদের। এ টাকা অসাধু ব্যবসায়ীদেরও তো হতে পারে। যারা টাকা পাচার করে তাদের একটাই পরিচয় অর্থপাচারকারী। এরা দেশ প্রেমিক হতে পারে না। এ ব্যাপারে সরকারকে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। এটা জনগণের কষ্টে অর্জিত টাকা।’

সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের সম্পর্ক দাম্ভিকতার নয়। এরা একে অপরের পরিপূরক। কেবলমাত্র সাংবাদিকদের মাধ্যমে একজন রাজনীতিবিদ জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে পারে। তাদের সঙ্গে যুক্তির মাধ্যমে কথা বলতে হবে। তারাই আমাদেরকে জনগণের কাছে তুলে ধরবে। তাই রাজনীতিবিদদের আরও সংযত ও সহনশীল হতে হবে। অবিলম্বে সাংবাদিক রাজনীতিবিদদের অশ্লিল বিতর্ক বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিকরা আমাদের ভুলত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। এ ভুলত্রুটির বিচার করবে জনগণ।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে আমি রাজনীতিবিদ। আমাকে গণমাধ্যমের মাধ্যমেই জনগণের কাছে যেতে হয়। বিশ্বের কোনো রাজনীতিক বলতে পারবে না আমি যা করি সব কাজই সঠিক। মোটেই বেঠিক নয়। তাই গণমাধ্যমের প্রতি আমাদের আরও দায়িত্বশীল ও সংযত আচরণ করতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় করার সুযোগ নেই।’

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সাম্প্রতিক সাংবাদিকদেরকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ছোট বেলায় দেখেছি ধনীরা বাড়িতে কুকুর পালতেন। আরও ধনীরা বিদেশি কুকুর পালতো। এখন নব্য ধনীরা মিডিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিক পালে। এরা ভেঙচি কাটে, লাথি মারলে কামড় দিতে আসে। এদের মালিক পক্ষ যদি আমার পক্ষে লেখার জন্য বলে তবে এরা তাই করবে।

এ সময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মোহাম্মদ সেলিম, হুমায়ন কবির মিজি ।



মন্তব্য চালু নেই