সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের দরকার ২৮১
থারাঙ্গা-গুনাথিলাকারা যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন মনে মনে হয়তো আফসোসের জোয়ারে পুড়ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। হয়তো ভাবছিলেন টস জিতে কেন বোলিং নিলাম। তবে শুরুর আফসোস শেষ পর্যন্ত থাকেনি টাইগারদের। মাঝে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে লক্ষ্যসীমার মধ্যেই আটকেছে লঙ্কানদের। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮০ রান করে থেমেছে থারাঙ্গার দল।
শনিবার সকালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা ও দানুশকা গুনাথিলাকারার দারুণ ব্যাটিং ৭৬ রানের জুটি গড়ে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেয় দলটি। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন গুনাথিলাকারা। এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি থারাঙ্গাও। তাসকিনের বলে বোল্ড হন তিনি।
এরপর চান্দিমালকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিস। ৪৯ রানে জুটি গড়েছিলেন তারা। তবে চান্দিমালের নিজের ভুলে রানআউট হলে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা।
তবে ম্যাচের শেষ দিকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন থিসারা পেরেরা। অষ্টম উইকেটে দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন থিসারা। ৪৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন কুশল মেন্ডিস। ৭৬ বলে এ রান করেন এই তরুণ। এছাড়া শেষ দিকে ঝড় তুলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন থিসারা পেরেরাও। ৪০ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। এছাড়া থারাঙ্গা ৩৫ রান এবং গুনাথিলাকা ও গুনারাত্নে ৩৪ রান করে করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৬৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান মাশরাফি। ৫৫ রানের বিনিময়ে ৫৫ রানের ২টি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া মিরাজ ও তাসকিন ১টি করে উইকেট নেন।
মন্তব্য চালু নেই