সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি যমুনায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্ট রোববার সকাল থেকে তা বিপদ সীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সদর উপজেলার শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় শতাধিক গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। জেলার বন্যা পরিস্থিতিতে চর এলাকার এসব মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী এসকল মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং শুকনা খাবারের সঙ্কট।এদিকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে প্রচন্ড স্রোতে চৌহালী বোয়ালকান্দি থেকে দক্ষিণে পাথরাইল পর্যন্ত ১৫ এবং এনায়েতপুরের চাঁদপুর হতে জালালপুর ভেকা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতিদিনই ঘর-বাড়ি হারাচ্ছেন শত শত মানুষ।
বসত ভিটা নদীতে বিলীন হবার আশঙ্কায় অনেকে তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের বিনদহ, দেওয়ান তলা এবং মাঝগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক থেকে দেড় ফুট পানি প্রবেশ করায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকবে। যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে জেলার কোথাও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ক্ষতি হয়নি। যে কারণে এখনো কোনো আশঙ্কা হবার কিছু নেই। তবে ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ব্রেনজন চাম্বুগং জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতি মনিটর করার জন্য একটি সেল গঠন করা হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই