সিরাজগঞ্জে জেলা জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে, আটক ১০
সিরাজগঞ্জ ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের পাশাপাশি সিরাজগঞ্জে জেলা জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন এলাকার রেল লাইনের উপর থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ককটেল উদ্ধার করা হয়।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ককটেল উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এছাড়া সকালে বেলকুচি উপজেলার জামায়াত মোড় এলাকায় একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে।
তবে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ধরনের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হলে এর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
এদিকে, নাশকতার অভিযোগে পুলিশ সিরাজগঞ্জ থেকে বিএনপি জামায়াতের ১০ কর্মীকে আটক করেছে।
হরতালের কারণে সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ এম.এ মতিন পৌর বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। আন্তঃনগর রুটে বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম হওয়ায় স্কুলগুলোতে ক্লাস হচ্ছে না।
হরতালের সমর্থনে মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা দোলোয়ার হোসেন ও সিরাজগঞ্জ সদর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসআই) রওশন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। পরে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জামায়াত নেতা সাইদুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ জামায়াত নেতাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জেলা জামায়াত।
মন্তব্য চালু নেই