সিভিতে চোখ বুলিয়ে পেতে হবে যে প্রশ্নগুলোর জবাব
১. আপনার বর্তমান কাজ : চাকরির জন্য কোনো জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করতে হলে তাতে স্পষ্টভাবে আপনার বর্তমান পেশা উল্লেখ করা প্রয়োজন। কোথাও আপনার জীবনবৃত্তান্ত পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সবার আগে এ বিষয়টিই গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।
২. এ কাজের জন্য আপনি কিভাবে যোগ্য : আপনার যদি নির্দিষ্ট কাজটির জন্য যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলে তা তুলে ধরুন। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে না ধরলে তা নিয়োগকর্তার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে।
৩. ভাষাগত দক্ষতা : ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি সঠিকভাবে লিখতে কিংবা বলতে পারেন কি না, এ বিষয়টি আপনার জীবনবৃত্তান্ত থেকেই বোঝা যাবে। কোনো বানান ভুল কিংবা ভাষাগত দুর্বলতা পাওয়া গেলে তা আপনাকে চাকরিক্ষেত্রে অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করবে।
৪. আপনার ক্যারিয়ারের ইতিহাস : বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনার যোগ্যতা কিংবা অভিজ্ঞতা থাকাটাই কোনো পদে যাওয়ার জন্য বিবেচিত নাও হতে পারে। নিয়োগকর্তা আপনার জীবনবৃত্তান্ত থেকে সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারের ইতিহাস জানতে চাইতে পারেন। তাই এ বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখুন যে ক্যারিয়ারের সম্পূর্ণ ইতিহাস জীবনবৃত্তান্ত থেকে যেন বোঝা যায়।
৫. শিক্ষাগত যোগ্যতা : নির্দিষ্ট একটি চাকরির জন্য অনেক সময় নিয়োগকর্তা শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক করে দেন। আপনার যদি এ বিষয়টি থাকে তাহলে তা সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।
৬. অভিজ্ঞতাগুলো কী প্রয়োজনীয় : চাকরির অভিজ্ঞতা যা-ই থাকুক না কেন, সেগুলো নিয়োগদাতার জন্য প্রয়োজনীয় কি না, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
৭. ক্যারিয়ারের গতি কেমন : আপনার ক্যারিয়ার কি গতিশীল অবস্থায় রয়েছে, নাকি তা এক স্থানে স্থবির হয়ে পড়ে রয়েছে তা জেনে নিতে অনেক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষই আগ্রহী থাকে। জীবনবৃত্তান্ত থেকে আপনার ক্যারিয়ারে যদি উন্নতির লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাহলে তাতে নিয়োগকর্তা আপনাকে মেধাবী ও যোগ্য বলে মনে করতে পারেন।
মন্তব্য চালু নেই