সিনেমেটিক স্টাইলে জামায়াতের পিকেটিং
অনেকটা সিনেমেটিক স্টাইলে পিকেটিংয়ের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে জামায়াতের হরতাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দলটির নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতি ও রোববার ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দেয় জামায়াত। এর মধ্যে বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টা হরতাল পালিত হয়।
দ্বিতীয় দফায় ২৪ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে। চলবে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
মূলত হরতালে নাশকতা ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে গা বাঁচিয়ে নাটকীয়ভাবে পিকেটিং করে আবার গা ঢাকা দিচ্ছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা অবস্থান নেন প্রতিবেদকরা।
রোববার ভোর পৌঁনে ৬টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে শাহ আলী থানা জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ -১২ জন হরতালের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করে। পরে তারা ২ থেকে ৩ মিনিট অবস্থান করেই পিকেটিংয়ের ব্যানার নিয়ে ছবি তুলেই স্থান ত্যাগ করে ।
মিরপুর ১৩ নম্বরের বিআরটিএ অফিসের সামনে সকাল সাঁড়ে ৬ টার দিকে শিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি তামিম হোসেনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন কর্মী রাস্তায় টায়ারে আগুন দেয়।
এসময় তারা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে স্লোগানও দিতে থাকে। এভাবে মিনিট পাচেঁক অবস্থান করে পিকেটিংয়ের ছবি তুলে অদৃশ্য হয়ে যায় তারাও।
প্রায় একই সময়ে কাফরুলেও মিছিল করে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। ওই এলাকার এক জামায়াত কর্মীর কাছে টেলিফোনে মিছিলে কারা ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ ই-মেইলে ছবি ও খবর পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
তবে কাফরুল থানার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এসআই মঈন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত এমন কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বেশ কিছু জায়গায় নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশীও চালাচ্ছে তারা।
ভোরে রাস্তায় যান চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়তে কিছুটা বেড়েছে।
মূল রোডে না এসে সাইড রোডগুলোতে অবস্থান নিয়েছে জামায়াত শিবিরকর্মীরা। কেন এই ধরনের পিকেটিং জানতে চাইলে জামায়াতের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সরকার যেভাবে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে তাতে কিভাবে রাস্তায় থাকবো।’
মন্তব্য চালু নেই