সিনেমার একটি দৃশ্যের জন্য খরচ হলো তিন কোটি টাকা!

নেমার এক একটা দৃশ্যে এই আল্পসের কোলে তো এই মিয়ামির বিচে! তার সঙ্গে মানানসই এই টুকটুকে লাল পুলওভার তো এই নীল সবুজ সিফন শাড়ি। পারলে প্রায় প্রতিটি দৃশ্যেই কস্টিউম পরিবর্তন করেন নায়ক-নায়িকারা। যেন সার্কাসের ঘোড়ার খেলা। একটা ছবিতেই হাজারখানেক জামাকাপড় পরে ফেলেন তারকারা।

কিন্তু তা বলে একটা কস্টিউমের দাম কয়েক কোটি! কোটি না হলেও নিদেনপক্ষে কয়েক লক্ষ টাকার চৌকাঠ টপকানো আজকালকার সিনেমায় কোনও ব্যাপারই নয়। বলিউডেও এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। সিনেমার একটা দৃশ্যের জন্য একটা কস্টিউমের খরচের বহর শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও।

রোবট:
রজনীকান্তের এই বিশেষ কস্টিউমটি ডিজাইন করেছিলেন মণীশ মলহোত্র। যার দাম ছিল প্রায় তিন কোটি

টাকা।
সুতরাং বলাই যায় যে, এই সিনেমার একটি দৃশ্যের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা!

তেভর:
সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু তাতে কী? কস্টিউমে কোনও কার্পণ্য নয়। এই ছবির
‘রাধা নাচেগি’ গানে নায়িকা সোনাক্ষীর এই ড্রেসটির দাম ছিল ৭৫ লক্ষ।

সিং ইজ ব্লিং:
এই ছবিতে অক্ষয় কুমারের পাগড়িটি ছিল সোনার। শুধু পাগড়িটিরই দাম ছিল ৬৫ লক্ষ টাকা।

দীপিকা পাড়ুকোন:
‘বাজিরাও মস্তানি’-তে দীপিকার কস্টিউম তাক লাগিয়েছিল দর্শকদের। তার সঙ্গে ছিল মানানসই গয়নার সম্ভার।
সব মিলিয়ে নাকি মোট ৪৮ লক্ষ টাকার গয়না পরেছিলেন দীপিকা।

বীর:
বক্স অফিসে একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি সলমনের বীর। কিন্তু গোটা ছবি জুড়ে বেশ কিছু দামী ড্রেস পরেছিলেন সলমন।
প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ছিল এক একটা কস্টিউমের দাম।

দেবদাস:
কস্টিউমকে বরাবরই প্রাধান্য দেন সঞ্জয় লীলা ভংশালী। দেবদাস-এও মাধুরীর কস্টিউম মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। ‘কাহে ছেড় মোহে’ গানে মাধুরীর লেহেঙ্গাটির ওজন ছিল ৩০ কেজি আর দাম ছিল ১৫ লক্ষ টাকা।

কমবখত ইশক:
এই ছবির জন্য সমস্ত ড্রেস প্যারিস থেকে কিনেছিলেন করিনা কপূর। দুর্দান্ত এই কালো ড্রেসটির দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা।

যোধা আকবর:
এই ছবির দুর্দান্ত কস্টিউম নজর কেড়েছিল দর্শকদের। তার মধ্যে স্বয়ং আকবরের ড্রেস তো একটু স্পেশাল হবেই।
হৃত্বিকের কস্টিউমের দাম ছিল ২ লক্ষ টাকা।-আনন্দ বাজার



মন্তব্য চালু নেই