সিটি নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পতন : মাহবুব

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার বিএনপির বিজয় বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত।’

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত ‘গুম হত্যা পেশাজীবী নির্যাতন বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ বন্ধে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে, সেখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ নেই। সরকার পতন করেই তারা ঘরে ফিরবে।’

মাহবুব বলেন, ‘বিএনপি ‍যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে সরকার বিদেশিদের বলবে- বিএনপির জনসমর্থন নেই। তারা পেট্রোলবোমা, জঙ্গিবাদী দলে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে অত্যান্ত সচেতন। সরকার নিজের লোক দিয়ে পেট্রোলবোমা মেরে সেই দোষ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে এবং সেভাবেই প্রচার করছে। কিন্তু তারা যে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করছে সেটা প্রচার করছে না।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে এ আইনজীবী নেতা বলেন, ‘সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বেড় করার জন্য আমরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলাম। সেই অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আদালতে এসে জানালো, তারা নাকি সালাহ উদ্দিনের খোঁজ জানে না। অথচ তাকে খুঁজে বের করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরই দায়িত্ব। এই যদি হয় তাদের চেহারা, তাহলে কি তারা ঘাস কাটার জন্য রয়েছে?’

ক্ষুব্ধ হয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমরা সালাহ উদ্দিন বা ইলিয়াস আলীর সন্ধান চাই না, সেলিম ভুঁইয়ার মুক্তি চাই না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক মুক্তি চাই। কারণ গণতন্ত্র মুক্তি পেলে ভবিষ্যতে আর কাউকে গুমখুন হতে হবে না। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদেরও সন্ধান পাওয়া যাবে।’

আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে। তার আগে সরকারকে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একদিকে সরকার নির্বাচনের কথা বলবে, অন্যদিকে গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা করবে এমন হতে পারে না।’

আয়োজক সংগঠনের অতিরিক্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাবের মহাসচিব এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, এ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাবের যুগ্ম-মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ মিজানুর রহমান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই