সাড়ে ৭ বছর পর খালেদা…
পৌর নির্বাচনকে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের অন্যতম উপায় বলে মনে করছে দলের নেতারা। দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর পর দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ভোট যুদ্ধে নামতে যাচ্ছে দলটি।
এই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালে সবশেষ বিএনপি দলীয় প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়। এরপর স্থানীয় নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীরা অংশ নিলেও এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
জানা গেছে, পৌর নির্বাচনে সবগুলো আসনে বিএনপি একক প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির একক প্রার্থীদের সমর্থন দেবে জোটের শরিকরা। আর যেসব আসনে শরিকদের শক্ত প্রার্থী রয়েছে, সেরকম কিছু জায়গায় শরিকদের ছাড় দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
জোট সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর ধরপাকড় মামলার বিষয়টি বিবেচনা রেখে কৌশলগত অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী। সবগুলি পৌর সভায় জামায়াতের একক প্রার্থী দেয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।
পৌর নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাজাহান, সহ প্রচার সম্পাদক এমরান সাহেল প্রিন্স এবং মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন পৌর নির্বাচন সমন্বয় করবেন। তাদের সহযোগিতা করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী।
বিএনপি পৌর নির্বাচনে যাদের মনোয়ন দেবে তাদের মনোনয়ন প্রত্যয়নের দেয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী এমপি পদ মর্যাদার কারো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। এসব লাভজনক পদে না থাকায় খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে আইনি কোনো বাধা থাকছে না। শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে থাকবে নাকি সিটি নির্বাচনের মতো বর্জন করবে সেটাই আওয়ামী লীগের সন্দেহ।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার যুক্তি হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করে, পৌর নির্বাচনকে ঘিরে তাদের ইউ টার্ন নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতে পুনর্গঠন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত হলে তাতেও প্রমাণ হবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সময় স্বল্পতা প্রসঙ্গে আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রার্থীদের থেকে দরখাস্ত গ্রহণ করা, বাছাই করা, সেখান থেকে শর্ট লিস্ট করা, ফাইনাল মনোনয়ন দেয়া, মনোনয়ন পত্র সাবমিশনের আগে দলের মধ্যে কিছু কাজ আছে এগুলোর জন্য সময় প্রয়োজন।’
পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেছেন, ‘বিএনপি ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবে। এটাই আমাদের নির্বাচনী প্রতীক। আমরা প্রত্যেকটি এলাকায় একজন করে মনোনয়ন পত্র জামাদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মন্তব্য চালু নেই