সাড়ে ৫ মাস পর গৃহবধূ লুবনার লাশ উত্তোলন

চট্টগ্রামের মনু মিয়াজি লেইন এলাকার শ্বশুর বাড়িতে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হওয়া ২ সন্তানের জননী লুবনা আক্তারের লাশ দাফনের সাড়ে পাঁচ মাস পর আদালতের নির্দেশে করব থেকে লাশ তোলা হয়েছে।

‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’ মায়ের এমন অভিযোগে মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর মিসকিন শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। এরপর তা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান, পিবিআইর কর্মকর্তাসহ লুবনার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর লুবনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তুলতে মহানগর হাকিম আদালত থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে আদেশ আসে। এরই প্রেক্ষিতে মরদেহ কবর থেকে তোলা হলো।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান বলেন, ময়না তদন্তের জন্য গৃহবধূ লুবনা আক্তারের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় একই স্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

জানা যায়, গত ১৬ জুলাই নগরীর চকবাজার থানার মনু মিয়াজি লেইন এলাকার শ্বশুর বাড়িতে অস্বাভাবিকভাবে মারা যান লুবনা আক্তার। তখন শ্বশুরপক্ষের লোকজন লুবনা আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে তার মরদেহ মিসকিন শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু মৃত্যুর কয়েক মাস পর গত ৬ নভেম্বর মহানগর হাকিম আদালতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে মামলা করেন লুবনার মা রেহেনা সুলতানা। মামলায় লুবনার স্বামী মোহাম্মদ মাবুদুর রহমানসহ তার পরিবারের ৯ সদস্যকে আসামি করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন আদালত। মামলায় মোট ৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

লুবনার বড় ভাই মোহাম্মদ জরজীস শরীফ বলেন, ‘যৌতুকের দাবিতে আমার বোনকে তার শ্বশুরপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে তারা আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা বিষয়টি বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের সন্দেহ হলে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেন আমার মা’। ‍

২০১০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হালিশহর এলাকার বাসিন্দা লুবনার সঙ্গে চকবাজার এলাকার মোহাম্মদ মাবুদুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের সাড়ে চার বছর ও দেড় বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান আছে।



মন্তব্য চালু নেই