সালমান-শাহরুখের সাক্ষাৎ এবং বন্ধুত্ব…
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় একটি নাম প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ। অভিনয় আর নিজস্ব স্টাইলে বাংলা ছবির জগতে নিজের স্বকীয়তা সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশক তাই বাংলা ছবির ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে ইতিহাসের খাতায় লেখা থাকবে। সে সময়টায় সালমানের সাথে বোম্বের আরেক জনপ্রিয় নায়ক শাহরুখ খানেরও বন্ধুত্বের কথাও শোনা যেত!
নব্বইয়ের দশকে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে বাংলা ছবির জগতে পা রাখেন কুড়ি বছর বয়সের এক তরুণ। প্রথম ছবি দিয়েই দারুণ পরিচিত হয়ে উঠেন তিনি। নিজস্ব স্টাইল, অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ববোধ আর পরিশিলিত মানসিকতার জন্য খুব দ্রুতই বাংলার আপামর জনতার কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেন। অন্যদিকে একই সময়ে ভারতের বোম্বেতে জনপ্রিয় হবার জাল বিস্তার করছিলেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান, শাহরুখ খান ও আমির খানের মতন তারকারা। এই তুমুল জনপ্রিয় বলিউড তারকাদের মধ্যে বলিউড বাদশাহ খ্যাত শাহরুখের সাথে বাংলার হিরো সালমানের বন্ধুত্বের কথাও শোনা যেত সেসময়।
শাহরুখ ও তার স্ত্রী গৌরী খানের সাথে সালমান শাহ্…
বন্ধুত্ব ছিল কিনা, সেটা অন্য বিষয়; কিন্তু অসাধারণ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে যে তাদের মধ্যে একটা যুগসূত্র স্থাপন হয়েছিল সেটাতো নিশ্চিত। বিশেষ করে শাহরুখ ও তার স্ত্রী গৌরী খানের সাথে সালমানের একটি হাস্যোজ্বল ছবিটিইতো তার প্রমান।
ছবিটি ঠিক কত সালের তোলা তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও সম্ভবত ১৯৯২ অথবা ১৯৯৩ সালের দিকে নেয়া। কারণ, ওই সময়টায় জনপ্রিয় প্রয়াত অভিনেতা সালমান গিয়েছিলেন বোম্বেতে। সেখানেই সালমানের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এরপর সালমানের সাথে শাহরুখ খানের যোগাযোগ ছিল কিনা, তা ঠিক জানা না গেলেও সালমানের মৃত্যুর পর শাহরুখ যে মর্মাহত হয়েছিলেন তা খবরে প্রকাশ হয়েছিল। শাহরুখ কি এখনো মনে রেখেছেন বাংলার এই জনপদে তুমুল জনপ্রিয় অভিনয়ের একটা অধ্যায়কে; যার মৃত্যুর পর অন্তত ১৩ জন প্রান দিয়েছিলেন শুধু প্রিয় অভিনেতার মৃত্যু শোক সইতে না পেরে…
মন্তব্য চালু নেই