সালমান রুশদি বিকৃত যৌনরুচির মানুষ
বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদি বিকৃত যৌনরুচির মানুষ। একই সঙ্গে সে ঈর্ষাকাতর ও লোভী। রুশদির প্রাক্তন স্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মডেল ও টিভি উপস্থাপক পদ্ম লক্ষ্ণী তার প্রকাশিত আত্মজীবনীতে এসব কথা বলেছেন । বইটিতে সালমান রুশদীর সাথে তার তিন বছরের দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন দিক সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন লক্ষ্মী।
১৯৯৯ সালে ৫১ বছর বয়সী সালমান রুশদির সাথে একটি পার্টিতে যখন সাক্ষাৎ হয়েছিল তখন লক্ষ্মীর বয়স ছিল ২৮। তখন তিনি একা বাস করতেন এবং মডেল হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। ওই সময় রুশদি মাত্র তার তৃতীয় বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। ২০০৪ সালে রুশদিকে বিয়ে করেন লক্ষ্মী । বিয়ের প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও ক্রমেই তাদের মধ্যে তিক্ততা বাড়তে থাকে। রুশদির বিকৃত যৌন আচরণ ও তীক্ষ্ম বাক্যবাণে লক্ষ্ণীর জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করে। মাত্র তিন বছরের মাথায় রুশদিরে সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানেন লক্ষ্মী। বর্তমানে লক্ষ্ণী কোটিপতি ব্যবসায়ী অ্যাডাম ডেলের ঘর করছেন ।
রুশদির সঙ্গে তিন বছরের সংসারের বর্ণনা দিতে গিয়ে লক্ষ্মী বলেন, ‘ এটা প্রথমে ছিল সুস্বাদু খাবার যা পরে বিষ হয়ে দেখা দিয়েছিল।’
রুশদির বিকৃত যৌনরুচির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তেন, তখন রুশদির আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় এই বিয়েকে বাজে বিনিয়োগ বলে মন্তব্য করতেও কসুর করেননি আলোচিত-সমালোচিত এই লেখক।
হাসপাতাল থেকে প্রায় পাঁচ ঘন্টার অপারেশন শেষে বাসায় ফেরার পর রুশদি তার দিকে ফিরেও তাকাননি বলে দাবি করেন লক্ষ্মী। এমনকি পরের দিন তাকে বাড়িতে ফেলেই রুশদি তার ঘুরতে চলে যান।
স্যাটানিক ভার্সেস নামক ইসলাম বিদ্বেষী উপন্যাস লেখার পর আশির দশকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা রুশদির শিরশ্ছেদের আদেশ দেন। সেই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন রুশদি।
মন্তব্য চালু নেই