সালমানের মহানুভবতায় মুগ্ধ কাশ্মীরের ভিক্ষুক পরিবার !
বলিউডের বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান। সম্প্রতি নানা আইনি জুটঝামেলার মধ্যে থাকলেও তিনি বরাবরই একজন পরোপকারী মানুষ। নানা সময়ে নানাজনকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। ফের একজন মহানুভব সালমানকেই দেখলো ভারতবাসী।
গত সপ্তাহে সালমান কাশ্মীর ছিলেন তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং করতে, সেখানেই এক গরীব পরিবারের করুন কাহিনী শুনে তার হৃদয় ব্যথিত হয়। অতঃপর তিনি স্বয়ং নিয়েছেন সেই দুঃখী পরিবারটির দায়িত্ব। এ যেনো রুপকথার কোনো মহানুভব যুবরাজ!
জানাগেছে, কবির খানের ‘বজরাঙ্গি ভাইজান’ ছবির শ্যুটিংয়ের জন্যে দীর্ঘদিন কাশ্মীরে ছিলেন সলমান। পহেলগাঁও-র যে অংশে তিনি শ্যুটিং করছিলেন, সেখানে বাস ৭৫ বছর বয়সী জাইনা বেগমের। তিনি ছাড়াও তার পরিবারে আছেন এক বিধবা মেয়ে ও তার চার নাতি নাতনি। অভাবের সংসার কোনও ক্রমে চলে ভিক্ষে করে। সলমান খানের সেখানে আসার কথা কানে যাওয়াতে এক প্রতিবেশি জাইনা বেগমকে বোঝান যাতে তিনি সাহস করে একবার সলমানের কাছে গিয়ে তার দুঃখের কাহিনী বলেন। সেই প্রতিবেশির কথা শুনে সাহস আর আশায় বুক বেঁধে জাইনা পৌঁছে যান সিনেমার সেটে। সেখানে গিয়ে সালমানের চার দেহরক্ষীকে তিনি অনুরোধ করেন যাতে একবার সালমানের সঙ্গে তার দেখা করিয়ে দেন তারা। একথা সালমানের কানে পৌঁছালে, তৎক্ষণাৎ তিনি জাইনাকে ডেকে পাঠান এবং মন দিয়ে তার সব কথা শোনেন।
জাইনার কষ্ট এতটাই মন ছুঁয়ে গিয়েছিল সালমানের যে তৎক্ষণাৎ তিনি তার বড় নাতি ১৮ বছরের গোহার আহমেদ ভাটকে ছবির সেটে কাজে লাগিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, তিনি জাইনাকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, কাশ্মীরে ছবির শুটিং শেষ হয়ে গেলে তিনি তার বড় নাতিকে চাকরি দেবেন তার নিজের কাছে মুম্বাইতেই।
এবং কাশ্মীরের ওই ভিক্ষুক পরিবারটিকে সালমান কথা দেন যে, আর কোনোদিন তাদের কষ্টে দিন যাবে না। তাদের দায়িত্ব তিনি নিয়ে নিয়েছেন। সালমানের এমন আশ্বাসে কাশ্মীরের পরিবারটি তাকে ঈশ্বরের মতো ভাবছেন।
শেষ পর্যন্ত জানাগেছে, জাইনা বেগমের বড় নাতি গোহার আহমেদ সালমানের কথা মতো কাশ্মীর থেকে মুম্বাই যেতে তৈরি হচ্ছেন।
কাশ্মীরের ভিক্ষুক পরিবার:
মন্তব্য চালু নেই