সালথায় আ’লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন এক যুবকের মৃত্যু
ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আবুল হোসেন উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দাড়িয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল মালেক শেখের মেজ ছেলে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দাড়িয়াকান্দি গ্রামে মেমোরিকার্ড কেনা বেচা নিয়ে ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বারের সমর্থক টুকু সর্দারের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুদ্দীন মেম্বারের সমর্থক লাল মিয়ার বাকবিতন্ডতার ঘটনা ঘটে। এরই সুত্রধরে উভয় গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শটগানের ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। টানা ৩ ঘন্টাব্যাপি চলা এই সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ওয়াদুদ মাতুব্বারের সমর্থক জামাল হোসেন (২৫), আবুল হোসেন (২২) ও কামাল হোসেন (১৯) এই আপন ৩ ভাইকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর মধ্যে আবুল হোসেনের অবস্থার অবনতি দেখে সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপালে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করার পর ঘটনার দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হোসেন মারা যায়। তার মৃত্যু খবরে পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। মা মিনু বেগম বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। নিহতের বাড়িতে কান্দার রোল চলছে। এমন অকাল মৃত্যুতে ঐ এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
সংঘর্ষের সময় সালথা থানা পুলিশ ফরিদ শেখ(৩২), মঙ্গল মোল্যা (৩৮), রাশেদ (৩৮), ইচাহাক (৩২), ওহিদ খান (২২), আর্শেদ (৩৫), রাকিবুল (২৮), নবীন শেখ (৩০), বাবুল মাতুব্বার (২৫), অপু শেখ (১৮), ছালাম মাতুব্বার (৫০) ও বতু শেখ (২৫) কে আটক করেন।
আবুল হোসেনের নিহতর বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডিএম বেলায়েত হোসেন বলেন, নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে এলাকায় আনা হবে। এঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই