সারাদিন চোখের সামনে বন্ধুর ন্যাকা প্রেম, আপনি কী করবেন?
এমনই এক বন্ধু, যার সঙ্গে আপনাকে দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটাতে হয়। আর তিনি কি না প্রেম করছেন। তা তিনি করতেই পারেন। আপনি না করলেও তিনি করতেই পারেন এবং সেটাই হয়েছে জ্বালা।
সারাদিন ধারে তিনি হয় ফোনে সত্যজিৎ রায়ের ‘মহাপুরুষ’ সিনেমার কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঙ্গিকে ধীরোদাত্ত গলায় বলে চেলেছেন কীসব কীসব। কিছুতেই সেই আলাপ শেষ হয় না।
আর বৈকালিক ভ্রমণের সময়ে, সান্ধ্য আড্ডায় তিনি বার বার ছিটকে যান। এসবের উপরে রয়েছে সাক্ষাৎ। অনেক সময়েই সেই যুগলের সঙ্গী হতে হয় আপনাকে। তখন প্রাণ ওষ্ঠাগত।
ন্যাকামির ঠেলায় আপনার ‘গোলমাল’ ছবির পরেশ রাওয়ালের কেতায় বলে উঠতে ইচ্ছা করে— ‘মুঝকো কোয়ি উঠা লে রে বাবা’।
‘মনাটা’, ‘সোনাটা’, ‘তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না, কথা দাও’ গোছের নখরা আর সহ্য যখন করতে পারছেন না। তখন জেনে নিন এমতাবস্থায় কী করণীয়।
১) বন্ধুকে ত্যাগ করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। বন্ধুর প্রেমিকাটিকেও এককভাবে আপনি অপছন্দ করেন না। যুগলেই যদি গণ্ডগোল হয়ে তাকে, তবে ওই কমন সময়টা অ্যাভয়েড করুন।
২) ফোনে ন্যাকাপনা তুঙ্গে উঠলেই কানে বালিশ চাপা দিন। দু’হাতে কান চাপা দিয়ে অর্থহীন গোঙাতে থাকুন।
৩) বন্ধু কাছে নেই, ফোন পড়েছিলল আপনার সামনে। প্রেমিকার কল আপনিই রিসিভ করেছেন। খুব লো লেভেলে কানে বিষ ঢালুন। তবে এমন কিছু বলবেন না, যাতে সম্পর্ক কেঁচে যায়।
৪) নিতান্ত যদি ওই যুগলের সঙ্গে আপনাকে বেরতেই হয় তবে সদাগম্ভীর ভাব করুন। এমন একটা ভাও নিন, যাতে আপনিই হয়ে ওঠেন নজরটান। ক’দিন এমন করে দেখুন, ন্যাকামি ছুটে যাবে। নয়তো আপনি অব্যহতি পাবেন।
৫) আপনি নিজে প্রেমে পড়ুন। জমিয়ে একটা বোল্ড প্রেম করুন ওদের সাক্ষী রেখেই। চার জনে বেড়াতে যান। ন্যাকমি আর থুচুকপনার আভাস দেখলেই বিরাট সব বোল্ড কথাবার্তা বলুন। তুমুল ঝগড়া করুন আপনার প্রেমিকার সঙ্গে (গট আপ)।
এই সব দাওয়াইয়ে যদি কাজ না-হয়, তবে কেটে পড়ুন বন্ধু আর তার ন্যাকা প্রেমের আওতা থেকে।
মন্তব্য চালু নেই