সামনের দিকেই তাকাচ্ছেন মামুনুলরা

ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হার। সেখানে কিরগিজদের মাঠে গিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান ২-০। গোল আরও হজম করলেও কেউ হয়তো প্রশ্ন তুলত না। কিন্তু এমন পরাজয়ের পরও বাংলাদেশ দলের লড়াকু মনোভাবের প্রশংসা করেছে সবাই। বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে কিরগিজস্তানের সঙ্গে ২-০ গোলের পরাজয়ে হতাশ অনেকেই। তারপরও সামনের দিকেই তাকাতে চাচ্ছেন সবাই। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম।

বুধবার রাতে দেশে ফিরেছে জাতীয় ফুটবল দল। সবাই ফিরলেও ব্যক্তিগত কারণে ফেরেননি দলের ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও লোপেজ। সব মিলিয়ে কিরগিজদের বিপক্ষে ভাল খেলেও হেরে যাওয়ায় হতাশ অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম।

কিরগিজদের মাঠে ২৭ মিনিটেই প্রথম গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ১-০তেই এগিয়ে ছিল স্বাগতিক শিবির। তবে ৮৯ মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে মামুনুলরা। অথচ ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ড্রও করতে পারত, যা হতো বড় চমকই।

নতুন কোচের অধীনে প্রথম ম্যাচ। নতুন গুরু প্রসঙ্গে মামুনুল বলেন, ‘কোচ আমাদের যেভাবে পরিচালনা করেছেন আমরা সেইভাবেই খেলেছি। আসলে হেরে যাওয়াটা কেউ মেনে নিতে পারে না।’ তবে বিশকেকের মাঠ থেকে পাওয়া হারের তিক্ততা পেছনে ফেলে মামুনুলরা তাকাচ্ছেন সামনের দিকে।

দল হারলেও খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সে নাকি সন্তুষ্ট কোচ লোপেজ। এমন প্রসঙ্গে দলের তরুণ ফরোয়ার্ড তকলিস আহমেদ বলেন, ‘আমরা ওই ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে বেশি ভাল খেলেছি। মামুনুল ভাইয়ের একটি শট ৭০ মিনিটে লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে আমরা ম্যাচটায় ১-১ গোলে ড্র করতে পারতাম। দুটোই গোলই আসলে হজম করেছি নিজেদের ভুলে। দুটি গোলই ওরা আমাদের কাছ থেকে উপহার হিসেবেই পেয়েছে বলতে পারেন। হারলেও কোচ সন্তুষ্ট দলের পারফরমেন্সে।’

খেলোয়াড়দের পজিশন নিয়ে ব্যাপক রদবদল করেছিলেন লোপেজ অনুশীলনে। ম্যাচেও তার প্রতিফলন হয়েছিল কি না? এমন প্রসঙ্গে তকলিস বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা সবাই যে পজিশনে খেলে অভ্যস্ত, কোচ বিশকেকের ম্যাচে অনেককেই সেই পজিশনে খেলাননি। আসলে আমরা সবাই পরিণত, অনুশীলনে ভিন্ন পজিশনে খেলতে প্রথমে সমস্যা হলেও পরে তা হয়নি। ম্যাচেও হয়নি। সবাই ভাল খেলেছে। ম্যাচে আমরা হারলেও সামগ্রিকভাবে ভালই খেলেছি।’

দেশে ফেরার পর আবার কদিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে মামুনুলদের ক্যাম্প। তকলিস জানান, ‘শুনেছি আমাদের পরবর্তী ক্যাম্প হতে পারে কক্সবাজারে।’



মন্তব্য চালু নেই