সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কাজটি ঠিক করেননি: শাহজাহান
ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিধি বহির্ভুতভাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে প্লট বরাদ্দ দিয়ে কাজটি ঠিক করেনি সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রোববার দুপুরে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ কথা বলেন। দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে স্বাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়েছে। আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেমন- আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ইত্যাদি মিলে একটি সংগঠন (ঝিলমিল বহুমুখী সমবায় সমিতি) করি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই শ্রমিক সংগঠনের জন্য স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর চার দলীয় জোট ক্ষমতায় এলে ওই স্থান থেকে ঢাকা সাংবাদিক সমিতিকে নীতি বহির্ভুতভাবে সাত একর জমি বরাদ্দ দেয়। তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির বিধি বহির্ভুতভাবে এ কাজ করেন।’
দুদক সূত্র জানায়, প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরসহ অন্যাদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্তে নৌমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালে আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেন। ১৮ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সাত একর সম্পত্তি ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে বরাদ্দ দিয়ে সরকারের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
গত ৬ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি (মামলা নং-১১) দায়ের করা হয়। প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) মো. আজহারুল হক, মুনসুর আলম ও মতিয়ার রহমান।
মন্তব্য চালু নেই