সাবধান! বার বার এটিএম থেকে টাকা তুললে মারাত্মক বিপদের ভয়
বাড়ির কাছেই এটিএম। অফিসের মধ্যেই এটিএম। বার বার গিয়ে দেখছেন টাকা রয়েছে কিনা। নগদ টাকার অভাব। এ দিকে প্রতিদিন আড়াই হাজার টাকার বেশি তোলা যাবে না। এমন অবস্থায় একাধিক ব্যাঙ্কের কার্ড দিয়ে বার বার টাকা তুলতে হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে মারাত্মক বিপদের ভয় দেখছেন গবেষকরা। সেটা জেনে এটিএম থেকে টাকা তোলার আগে অন্তত এ বার অবশ্যই ভাববেন।
এটিএম মেশিনের যে চকচকে বোতামগুলির ছোঁয়ায় নগদ টাকা আপনি পেয়ে যাচ্ছেন, সেই বোতামগুলি থেকেই আপনার হাত হয়ে দেহে চলে আসতে পারে নানা ধরণের ব্যাক্টেরিয়া। এমনকী যৌন-রোগের জীবাণু!
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেন কার্লটন জানিয়েছেন, ‘আমাদের গবেষণায় পাওয়া ফলাফল বলছে, এটিএমের কি-প্যাডে বিভিন্ন উৎস থেকে আসা জীবাণু থাকে। এর মধ্যে রয়েছে মানবদেহের ভেতরে থাকা অণুজীব, পচে যাওয়া খাবারে থাকা ব্যাক্টেরিয়া এবং যেসব জীবাণু বাতাস বা মাটির উপরের পরিবেশে সহজে টিকে থাকতে পারে।’
কার্লটনের গবেষণা দলটি ২০১৪ সালের জুন এবং জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন, কুইনস ও ব্রুকলিনের ৬৬টি এটিএম মেশিনের কি-প্যাড থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনাগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে পাওয়া জীবাণুর বেশিরভাগই টেলিভিশন, টয়লেট, রান্নাঘর ও বালিশ থেকে এসেছে। কিছু আবার এসেছে পচা মাছ, শামুক ও মুরগি থেকে। শপিং মল বা খাবারের দোকানে থাকা এটিএমের কি-প্যাডে জীবাণুর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সেগুলোর বেশিরভাগই পচা গাছপালা বা দুধের তৈরি খাবারে উৎপন্ন জীবাণু। এছাড়াও অন্যান্য কিছু নমুনায় কেক, বিস্কুটসহ নানা বেক করা খাবার নষ্ট হয়ে সৃষ্ট ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর অন্ত্রে পাওয়া পরজীবীর সমগোত্রীয় আরেকটি পরজীবী ট্রাইকোমোনাস ভ্যাজিনালিসও পাওয়া গিয়েছে, যা হাত থেকে দেহে গিয়ে যৌনবাহিত রোগ বা এসটিডি-র কারণও হতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই