সাবধান! এই শর্ত গুলো না মেনে এই ভিটামিন-যুক্ত খাবার খেলে হতে পারে মৃত্যু

সাধারণভাবে ভিটামিন আমরা শরীরের পুষ্টির জন্যই সেবন করে থাকি। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে এই ভিটামিনও যে আমাদের পক্ষে বিপজ্জনক আকার ধারণ করতে পারে, তা জানা নেই অনেকেরই। এমনকী, ভিটামিন কখনও কখনও প্রাণহানির কারণ পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্ন‌াল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণাপত্রে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

হেলসিঙ্কির গবেষকরা একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল মানবশরীরে ভিটামিন ই-এর প্রভাব সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা তৈরি করা। বিশেষত বেশি বয়সের নিউমোনিয়া রোগীদের দেহে ভিটামিন কীভাবে ক্রিয়া করে, সেই বিষয়েই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চেয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে ৫০ থেকে ৬৯ বছর বয়সি যেসব মানুষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদেরকে আনা হয়েছিল সমীক্ষার আওতায়। প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি এই সমীক্ষা-রিপোর্টের ভিত্তিতেই রচিত। এবং রিপোর্টে যা দেখা গিয়েছে, তা বেশ উদ্বেগজনক।

দেখা যাচ্ছে, সাধারণভাবে ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করা হলেও, কার্যক্ষেত্রে সবসময় তেমনটা হয় না। ভিটামিন ই কোনও মানুষের শরীরে কতটা কার্যকর হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে সেই মানুষটির জীবনযাপনের পদ্ধতির উপর। এমনিতে ভিটামিন ই যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, সেই কারণে অনেকেই আলাদা করে ভিটামিন ই সেবন করে থাকেন। কিন্তু সমীক্ষা রিপোর্ট জানাচ্ছে, যাঁরা বেশি পরিমাণে ভিটামিন ই সেবন করেন, তাঁদের যদি অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস থাকে, তাহলে তাঁদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা ৬৮ শতাংশ বেড়ে যায়।

বিশেষত এই মানুষরা যদি শারীরিকভাবে আলসে প্রকৃতির হন, তাহলে তাঁদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ে। কিন্তু যাঁরা শারীরিকভাবে সক্রিয়, সেই সঙ্গে পরিমিত হারে মদ্যপান ও ধূমপান করেন অথবা একেবারেই এড়িয়ে চলেন মদ কিংবা সিগারেট-বিড়িকে, তাঁদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই সেবনের ফলে নিউমোনিয়ার সম্ভাবনা ৬৯ শতাংশ হ্রাস পায়। যে কারণে গবেষকদলের প্রধান হারি হেমলিয়া বলছেন, ‘‘ভিটামিন ই সেবনের ফলাফল সম্পর্কে কোনও সর্বজনপ্রযোজ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছনো কঠিন।’’

নিউমোনিয়া কখনও কখনও প্রাণঘাতী আকারও নিতে পারে। কাজেই ভিটামিন ই-এর অপরিকল্পিত সেবন বাড়াতে পারে মৃত্যুর সম্ভাবনা। কাজেই বাদাম, পালং শাক, পেস্তা, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, জলপাই প্রভৃতি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই