সানিকে নির্দোষ দাবি পরিবারের

জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির মা নার্গিস আক্তার মোহাম্মদপুর থানার সামনে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। টাকার লোভে ওই মেয়ে তাকে ‘ফাঁসানোর’ চেষ্টা করছে। ওই তরুণী সানির সঙ্গে বিয়ের দাবি করলেও কোনো কাবিননামা দেখাতে পারেনি বলে দাবি করেন নার্গিস।

রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় পুলিশ সানিকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকে মোহাম্মদপুর থানায় আনা হয়। তারপর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মোহাম্মদপুর থানায় বসে সানির মা বলেন, ‘ওই মেয়ে পুলিশকে ঘুষ দিয়েছে। পুলিশ এবং ওই মেয়ের যোগসাজশে আরাফাত সানিকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার ছেলে নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের আগে পুলিশ ঘুষ খেয়েছে কি না সেটি তদন্ত করা উচিৎ।’

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকারের কাছে সানির মায়ের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পারে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করে দেখবো।

গত ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা নামে এক তরুণী সানির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। নাসরিনের মামলায় দাবি করেন, সানির সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি আরাফাত সানির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ৫ জানুয়ারি মামলা দায়েরের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে সানির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় দলে বাঁহাতি স্পিনার সানির অভিষেক হয় ২০১৪ সালে। দেশের হয়ে সর্বশেষ তিনি খেলেছেন গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তার আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে দেশের হয়ে শেষ ওয়ানডে খেলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আরাফাত সানিকেও নিষিদ্ধ করে আইসিসি।

বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের পর এখনও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি সানির। গত বছরের শেষ দিকে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেন তিনি। শ্রীলঙ্কার দিনুকা হেতিয়ারাচ্চির পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনি আলোচনাতেও এসেছিলেন।

এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সানির প্রথম স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করেছেন। সানি তার প্রাক্তন স্ত্রীর কিছু ছবি নতুন করে ফেসবুকে আপলোড করায় মামলা হয়েছে। যতটুকু শুনেছি এমনই ঘটনা। বোর্ড সানির পাশে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, এটা ওর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আগে আমাদের পুরো ঘটনা জানতে হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। সানির পাশে আমার থাকবো কিনা।



মন্তব্য চালু নেই