সাদ্দাম হোসেন নাম বলে ৪০ বার ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি হলো না

একের পর এক ইন্টারভিউয়ে জুটছিল প্রত্যাখ্যান। এদিকে নিজের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি নেই। তাহলে কোথায় সমস্যা হচ্ছে? কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না সদ্য পাস আউট মেরিন ইঞ্জিনিয়ার যুবকটি। শেষমেশ মরিয়া হয়ে এক সংস্থার এইচআর বিভাগের সঙ্গে কথা বলেন।

জানতে পারেন, আর কিছু নয়, সমস্যা তার নামেই। সিভিতে সাদ্দাম হোসেন নাম দেখেই চোখ কপালে উঠছিল সংস্থার কর্তৃপক্ষদের। আর তাই জুটছিল একের পর এক প্রত্যাখ্যান। এক নয় দুই নয়, মোট ৪০ বার প্রত্যাখাত হয়েছিল তাকে।

সাধ করে ওই যুবকের দাদা তার নাম লেখেছিলেন সাদ্দাম। কিন্তু কে জানত তা এরকম বিপর্যয় ডেকে আনবে! প্রয়াত ইরাকি প্রসিডেন্টের সঙ্গে নামের এরকম হুবহু মিলই ওই যুবকের কেরিয়ারকে প্রায় শেষ করে দিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পর দু’বছর বিভিন্ন কোম্পানির দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। কিন্তু সব জায়গাতেই জুটেছে প্রত্যাখ্যান। এবং তার নামের কারণেই এই বিপত্তি।

এ নাম নিয়ে কী সমস্যা? অনেকের বক্তব্য, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরিতে প্রায়শই বিদেশে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে এই নাম নিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন ওই যুবক। এর পিছনে যুক্তি এই যে, শাহরুখ খানকেও তো বিদেশের বিমানবন্দরে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়। সংস্থাগুলির এ কথা কতটা যুক্তিগ্রাহ্য সে তো পরের কথা, কিন্তু যুবকটি যে চরম হেনস্তার শিকার তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

উপায়ন্তর না দেখে নিজের নাম পাল্টে ফেলেন সাদ্দাম। এখন তিনি সাজিদ। কিন্তু সার্টিফিকেটে নাম পাল্টানোর ক্ষেত্রে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। যেহেতু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ওই নামই আছে, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটে নাম পাল্টানো সম্ভব হয়নি।

এরপর সিবিএসই বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও ফল মেলেনি। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তার আক্ষেপ অন্য একজনের অপরাধের ফল শুধু নামের কারণে ভোগ করতে হচ্ছে তাকে।



মন্তব্য চালু নেই