সাতক্ষীরায় সেনা বাহিনীর এক সৈনিকের প্রতারণার স্বীকার হলো কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী
সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর এক সৈনিকের প্রতারণার স্বীকার হলো সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের এক ছাত্রী। প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামের নূর আহম্মদ এর ছেলে খালিদ হোসেন (২২) এর সাথে একই গ্রামের মৃত মোঃ শামসুর রহমানের কন্যা মোছাঃ রাবেয়া খাতুন (২১) এর দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় গত ২৩ এপ্রিল বিজ্ঞ লোটারী পাবলিকের কার্যালয়, খুলনা থেকে বিবাহের এ্যাফিডেভিট করে। পরে সেনা সৈনিক খালিদ হোসেন তাদের বিবাহের কথা অস্বীকার করে। এব্যাপারে রাবেয়া খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালিদের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সে চট্রগ্রাম ইউনিট ৩ সিগন্যাল থেকে দুই মাসের ছুটি নিয়ে সাতক্ষীরায় আসে এবং আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায় গত ২৩ এপ্রিল সে কিছু কাগজপত্র (এ্যাফিডেভিট) নিয়ে আসলে আমরা উভয়ে উক্ত কাগজে স্বাক্ষর করে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ২৮ এপ্রিল আমার দুলাভাই শাকের আলী’র ভাড়াটিয়া বাসায় ( মাগুরা কামারপাড়া) আমরা দুজন মিলিত হয়ে ধর্মীয় ভাবে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থানীয় রেজি: কাজী মাওলানা মাহবুবুর রহমানকে ডেকে আনি। পরে কাজী সাহেবের সাথে সব কিছু স্বীকার করে আমার হাত থেকে খালিদ হোসেন এ্যাফিডেভিট এর মূল কপি ছিড়ে ফেলে। যার টুকরাগুলো আমার কাছে আছে। পরে সে সব কিছু অস্বীকার করে এবং আমাকে গ্রহন করতে অস্বীকার জানায়। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেতে শুরু হলে সদর থানার পুলিশ গিয়ে আমাদের থানায় নিয়ে আসে। এব্যাপারে সেনা সৈনিক খালিদ হাসান বলেন, আজ বেলা ১২টার দিকে রাবেয়া ০১৯৫২-৩২০৪৮০ নাম্বার থেকে আমাকে তার দুলাভাইয়ের বাসায় আসার কথা বলে এবং আমি সেখানে যাই। বিয়ের কথা ও এ্যাফিডেভিট এর কপি ছিড়ে ফেলার কথা জানতে চাইলে খালিন বলেন, রাবেয়া প্রখম যেদিন ফোন করে তখন সে বলে তার হাত কাটবে, বিষ খেয়ে চিঠি লিখবে- আমি কি করে সরকারি চাকরি করি তা দেখে নেবে। পরে থানায় থাকা অবস্থায় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খালিদ বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে তার ভবিষ্যতের জন্য কিছু খরচ প্রদান করে মিটিয়ে নেব।
মন্তব্য চালু নেই