সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় আ’লীগ কর্মী আশরাফ হত্যার ১ মাস পেরুলেও ধরাছোয়ার বাইরে আসামীরা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আওয়ামীলীগ কর্মী আশরায় হত্যা মামলার এক মাস ৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামীকে ধরতে পারেনি। আসামীদের সাথে পুলিশের সখ্যতা গড়ে উঠায় উল্টো বাদিকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে খুনিরা। সোমবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেণ নিহতের ভাই ও মামলার বাদী শাহাজদ্দীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহতের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন ও ছেলে শামীম হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলা হয়, ২৭ এপ্রিল ২০১৪ সালে আমার ভাই আশরায় ফকির সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তুয়ারডাঙ্গা মৎস্য সেটে যাওয়ার পথে গদাইপুর ব্রিজের উপর পৌঁছালে আনারুল ও রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে ৫০/৬০ সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে লক্ষ্য করে বোমা মেরে আহত করে এবং পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।লোমহর্ষক এ হত্যা কান্ডের পরদিন আশাশুনি থানায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। এরপরথেকে আজ পর্যন্ত পুলিশ এজাহার নামীয়কোন আসামীকে ধরতে পারেনি। এজাহার নামীয় আসামীরা আমার ভাইকে হত্যা করে ১০/১৫ দিন এলাকা ছাড়া ছিল। এরপর তার এলাকায় ফিরে এসে প্রকাশ্য দিবালকে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্বাক্ষীদের মারপিট , ঘেরলুট সহ মামলা তুলে নিতে আমার ও মৃত ভাইয়ের পরিবারের প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। বর্তমান আমার ভাবি স্বপ্না খাতুন এতিম দুটি সন্তানকে নিয়ে অনাহারে দিনাদিপাত করছে। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের মধ্যে জামাত-শিবির ক্যাডার আনারুল ইসলাম (পুলিশের গুলিতে নিহত সালামের ভাইপো) সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক ছাত্রলীগ নেতা এ বি এম মামুন হত্যা ও অধিকাংশারা আশাশুনির চাঞ্চল্যকার মনোয়ারা হত্যা, গুম, জাল – জালিয়াতি সহ একাধিক মামলার আসামী হওয়ার সত্বেও আজ পর্যন্ত একজন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। এবং মামলা তুলে না নিলে আমার ভাইয়ের মত আমাদেরকে একই পরিনতি হবে এলাকায় এসে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। অসহায় পরিবারটি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও পুলিশ সুপারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই