সাঙ্গাকারা, সাইত্রিশেও চির তরুণ
২০০০ সালে শ্রীলংকার গলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন প্রথম ওয়ানডে। তারপর ১৪ বছর পেরিয়ে কুমারা সাঙ্গাকারার বয়স হয়েছে ৩৭ বছর। তবু তার ব্যাটের রাজত্ব চলছেই বাইশ গজে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির পর শনিবার পাল্লেকেলেতে করলের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন, বলে রেখেছেন এই লংকান ক্রিকেটার। সেই হিসেবে হয়তোবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘরের মাঠে এই ইনিংসগুলোই তার শেষ প্রদর্শনী। তাই ভক্তদের স্রোতও দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ড-শ্রীলংকা হোম সিরিজের ম্যাচগুলোর গ্যালারিজুড়ে। উজ্জ্বল নক্ষত্রময় ক্যারিয়ারের শেষ বেলায়ও তাই হয়তো এমন আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাঙ্গাকারা খেলেছিলেন হার না মানা ৬৭ রানের ইনিংস। তারপর আর থেমে থাকেনি তার ব্যাট। একে একে হাম্বানতোতা, কলম্বো ও পাল্লেকেলেতে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি।
তৃতীয় এবং চতুর্থ ওয়ানডেতেও করেছেন ৬৩ ও ৮৬ রানের ইনিংস। পরের ম্যাচে আরও উজ্জ্বল। যদিও সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেননি মাত্র নয় রানের জন্য। খেলেছিলেন ৯১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। যেটা ছিল ওয়ানডেতে তার ৯১তম হাফ সেঞ্চুরিও।
যদিও পাল্লেকেলেতে তার এই ইনিংস জয় এনে দিতে পারেনি লংকানদের। জো রুটের সেঞ্চুরিতে পাঁচ উইকেটের জয় নিয়ে সিরিজে ৩-২ ব্যবধান করে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল সফরকারী ইংল্যান্ড।
তবে ষষ্ঠ ওয়ানডেতে দলের প্রয়োজনে আরও জ্বলে ওঠলেন লংকান ব্যাটিং জিনিয়াস। সেঞ্চুরি করে আগের চার ম্যাচে তিন অংকের ঘরে না পৌঁছানোর আক্ষেপ ঘুচানোর পাশাপাশি দলকে জয় এনে দিয়ে সিরিজও নিশ্চিত করে ফেললেন সাঙ্গা।
এদিন সাঙ্গাকারার সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান সংগ্রহ করে লংকানরা। ১১২ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ২ ছয়ে ১১২ রান করেন লংকান তারকা ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারা। জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায় ২০২ রানে। আর স্বাগতিকরা জয় পায় ৯০ রানে।
চলতি সিরিজে ৬ ম্যাচে সাঙ্গাকারার গড় দাঁড়িয়েছে ৮৪.২! অবশ্য ওয়ানডেতে ৩৮৯ ম্যাচে ৪০.৬৬ গড়ে ২০ সেঞ্চুরি এবং ৯১ হাফ সেঞ্চুরি করা লংকান এই গ্রেট ব্যাটসম্যানের ব্যাটে এমন নৈপুণ্য খুব অবাক করা কিছু নয়।
মন্তব্য চালু নেই