সাগরতলায় স্বর্ণের মুদ্রা
গুপ্তধনের সন্ধানে পৃথিবীতে কম মানুষ শ্রম দেননি। পুরাতন দালান থেকে শুরু করে মাটির তলা পর্যন্ত বাদ যায়নি গুপ্তধন শিকারীদের হাত থেকে। মাটির উপরিভাগের গুপ্তধন খোঁজায় কিছুটা ভাটা পরলেও সাগরতলার গুপ্তধন খোঁজায় কিন্তু কমতি নেই। বরংচ আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে অনেকেই ডুব দিচ্ছেন সাগরতলায় আর তুলে আনছেন হাজার বছরের পুরনো সব পুরাকীর্তি। সম্প্রতি ইসরায়েলের একদল স্কুবা ডাইভার সাগরতল থেকে উদ্ধার করেছেন প্রায় এক হাজার বছর পুরনো দুই হাজার স্বর্ণমুদ্রা।
স্কুবা ডাইভার দল প্রথমে প্রাপ্ত মুদ্রাকে বাজে মুদ্রা ভেবেছিলেন। কিন্তু একটু ঘাটাঘাটি করতেই তারা জানতে পারেন যে তাদের পাওয়া মুদ্রাগুলো আসলে খুবই দুর্লভ প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা। যদিও প্রথমে তারা হাতে গোনা কয়েকটি মুদ্রা পেয়েছিলেন, কিন্তু ভুল ভাঙ্গার পর তাদের অভিযানে আরও মুদ্রা উঠে আসে। ৯০৯ থেকে ১১৭১ খ্রিষ্টাব্দ সময়কার মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর অফ্রিকায় এই মুদ্রার প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। ধারণা করা হয় ফাতিমা খিলাফতের সময়ে এই মুদ্রাগুলো তৈরি করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি নৃতত্ত্ব বিভাগের প্রধান কোবি শারভিত জানান, ‘এই স্বর্ণমুদ্রা উদ্ধার আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে আশান্বিত করছে। হয়তো বা কোনো জাহাজের ভগ্নাবশেষের মাঝে এই মুদ্রাগুলো পাওয়া গেছে। যে স্থানে এই মুদ্রাগুলো পাওয়া গেছে সেখানে আমাদের অভিজ্ঞ দল আরও অনুসন্ধান চালাবে। ধারণা করা হচ্ছে, মিসর থেকে আয়কর সংগ্রহ করে ফিরে আসার সময় কোনো এক দুর্ঘটনায় একটি জাহাজ ডুবে যায় এবং সেই জাহাজেই ছিল এই স্বর্ণমুদ্রা।’
অবশ্য ভিন্নধারার কিছু ঐতিহাসিকের মতে, তৎকালীন সময়ে সৈনিকদের বেতন দেয়ার জন্য মিসর থেকে প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তিরা এসেছিলেন চেসেরার দিকে। অথবা কোনো বাণিজ্য জাহাজও দুর্ঘটনার কবলে পরতে পারে। কারণ যে স্থানে ওই মুদ্রাগুলো পাওয়া গেছে সেটা ছিল তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে বৃহৎ বাণিজ্যিক নৌরুট।
মন্তব্য চালু নেই