সাংবাদ সম্মেলনে নাকে খত দিন: খালেদাকে নানক
বাংলাদেশের মাটিতে জামায়াত-শিবির ও তাদের দোষর বিএনপির কবর রচনা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপরহরণ ও হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রকারী জঙ্গি খালেদা ও দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানের বিচারের দাবিতে’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
মানববন্ধনে শাহজাহান খান বলেন, ‘১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি ৭২ সাল থেকেই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের অপচেষ্টা করেছিল। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২০০৪ সালে তার কণ্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওপর হামলা। স্বাধীনতাবিরোধী ওইসব অপশক্তিকে বঙ্গবন্ধু শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। এ দেশের মাটিতেই জামায়াত-শিবির ও তাদের দোষর বিএনপির কবর রচনা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে।’
এ সময় তিনি খালেদা জিয়াকে রাজনীতির ‘মিথ্যাচারিণী’ ও ‘খলনায়িকা’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি আজ সাংবাদ সম্মেলন করছেন ভালো কথা। সাংবাদ সম্মেলনে আপনাকে হরতাল-অবরোধ বাদ দিয়ে নাকে খত দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অবরোধ হচ্ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সর্বশেষ একটি ধারালো অস্ত্র। আপনি সেই অস্ত্রটিকে ভোতাই করেননি বরং ধ্বংস করেছেন। হরতাল-অবরোধের নামে যাদের আগুনে পুড়িয়েছেন তাদের কান্না আপনি কি শুনতে পান?’
খালেদার উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখেছি আপনার স্বামী জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান ও স্বাধীনতা হত্যা করেছিল। আর আজ আপনি শেখ হাসিনা ও তার পুত্রকে হত্যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে হত্যা করবার পায়তারা করছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ-হত্যার যে ষরযন্ত্র করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই ষড়যন্ত্রকে কঠোর হাতে দমন করার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদ।’
ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম, এসএম কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, যুগ্ম-সম্পাদক শামছুল কবির রাহাত, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল, ঢাবি সভাপতি মেহেদী হাসান, ঢাকা মানগর উত্তরের সভাপতি এসএম রবিউল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই