সাঁথিয়ায় নিজামীর দাফন সম্পন্ন
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাবনার সাঁথিয়ার মনমথপুর গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে ঢাকা থেকে রওনা দেওয়া নিজামীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি বুধবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে তার নিজ গ্রাম মনমথপুরে গিয়ে পৌঁছায়।
এরপর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মাজহারুল ইসলাম নিজামীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমিন পরিবারের পক্ষে লাশটি গ্রহণ করেন।
এ সময় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) সিদ্দিকুর রহমান, সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মনমথপুর মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে নিজামীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন নিজামীর ছেলে নাজিব মোমিন। এরপর মনমথপুর কবরস্থানে নিজামীর মরদেহ দাফন করা হয়। জানাজা ও দাফন কাজে অংশ নিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ মনমথপুর মাদ্রাসা মাঠে উপস্থিত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) সিদ্দিকুর রহমান জানান, দাফনের পর কবরস্থান এলাকা ও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আগামী দুদিন এভাবে মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকি ও সাদাপোশাকি সদস্যরা।
নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তার নিজ এলাকা পাবনার সাঁথিয়ায় আনন্দ মিছিল হয়েছে। রায় কার্যকরের খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে সাঁথিয়া পৌর সদরে আনন্দ মিছিল বের করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। মিছিলটি পৌর সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওই গ্রামে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সংবাদ সংগ্রহে গ্রামে প্রবেশে সাংবাদিকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে ভোগান্তিতে পড়েন গণমাধ্যমকর্মীরা।
মন্তব্য চালু নেই