সহস্রাধিক ট্রেনযাত্রীর ভোগান্তির এক রাত

সিলেট-আখউড়া সেকশনে চলাচলকারী সহস্রাধিক ট্রেনযাত্রী রবিবার ভোগান্তির এক রাত কাটালো। সন্ধ্যা সাতটা ২০ মিনিটে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হলে এসব যাত্রী বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েন।

রাত ১২টা ১০ মিনিটে উদ্ধারকাজ শেষ হলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। পরে সারা রাত কাজ করে ভোর পাঁচটায় লাইন মেরামত সম্পন্ন হয়। আর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয় সকাল সাতটা ১০ মিনিটে। উপবন ট্রেনের যাত্রার মধ্য দিয়ে এই সেকশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে পুরো রাত সহস্রাধিক যাত্রী বিভিন্ন স্টেশনে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে রাত কাটান।

রেলওয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার পরপরই জয়ন্তিকা এবং কালনি এক্সপ্রেস এই দুইটি ট্রেন কুলাউড়া স্টেশনে আটকা পড়ে। অপরদিকে উপবন এক্সপ্রেস, সুরমা মেইল এবং জালালাবাদ এক্সপ্রেস ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি। এসব ট্রেন সিলেট স্টেশনে আটকা পড়ে।

অপরদিকে সিলেট-আখাউড়া সেকশনে চলাচলকারী ডেমো ৩৭ ও ৩৮ উভয় দিকেই যাত্রা বাতিল করে। ফলে সহস্রাধিক যাত্রী সীমাহীন কষ্টের মধ্যে রাত কাটায়।

অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় সিলেট ও চট্টগ্রামের সাথে চলাচলকালী ট্রেনের শিডিউলে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটেছে। সাত থেকে ১২ ঘণ্টা পরও কোনো ট্রেন চলেছে।

এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মুঈনুল মজনু ঢাকাটাইমসকে জানান, সন্ধ্যা সাতটায় মোগলাবাজার স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পরপরই একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ‍কিন্তু ড্রাইভার বিষয়টি আঁচ করতে না পারায় তিনি ট্রেন টেনে নিযে যাচ্ছিলেন। এসময় অকেজো বগিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। কান্নাকাটি শুরু করেন শত শত যাত্রী। প্রায় তিন কিলোমিটার যাওয়ার পর ড্রাইভার আঁচ করতে পেরে ট্রেন থামান।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা পূর্বাঞ্চলের ডিভিশনাল ম্যানেজার আরিফুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই