সরকার হিটলারি কায়দায় মানুষ হত্যা করছে : খালেদা

দেশে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘নব্য হিটলার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি বলেছেন, এ সরকার হিটলারি কায়দায় মানুষ হত্যা করছে, গুম করছে। কোনো মানুষ তাদের কাছে নিরাপদ নয়।

শনিবার বিকেলে নাটোর ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে জেলা সদরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত একটি নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপি জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলের জেলা নাটোরে এই জনসভা করেছেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। গণতন্ত্র না ফিরলে দেশে শান্তি উন্নয়ন হবে না। সেজন্য এই স্বৈরাচার হিটলার সরকারকে সরাতে হবে।’

জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয় বলেই বর্তমান সরকারের জনগণের ওপর কোনো দায়িত্ব নেই বলেও মনে করেন প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে এখনো প্রতিনিয়তই খুন, গুম হচ্ছে। এটি এখন দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে।` এসবের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ক্ষমতা আকড়ে রাখতে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও গার্মেণ্ট সেক্টর ধ্বংসেরও অভিযোগ তোলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

সরকার ক্ষমতা আকড়ে থাকতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশকে অপকর্মে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে এসব অপকর্ম করানো হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সাত খুনের তদন্তের ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি নেই। লোক দেখানোর জন্য যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরকে জামাই আদর করে রাখা হয়েছে।’

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিরুল হক, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

জোটের শরিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাাময়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, জামায়াত নেতা ড. রেদওয়ান উল্লাহ সাহিদী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা অধ্যক্ষ ইসহাক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জমান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা, কল্যান পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আমিনুর রহমান, ডিএলের মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, মুসলীম লীগের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জুলফিকুর বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই