সরকারের পরিণতি হবে হীরক রাজার মতো
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “বর্তমান সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসনের জন্য এদের পরিণতি হবে হীরক রাজার মতো। জনগণ দড়ি ধরে টান দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। যেদিন টান দেবে বা দড়ি কেটে দেবে তখন এরা খান খান হয়ে যাবে।”
বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (বসুন্ধরা) ২০ দলের শরিক এলডিপির ইফতারে অংশ নিয়ে তিনি সরকারের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, “সরকার ২০ দলের পেছনে লেগে আছে। তাদের দলের লোকজন অপকর্ম করছে, কিন্তু কিছু হয় না। অথচ বিএনপি ও ২০ দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের জামিন দেয়া হয় না। উল্টো অপকর্মের দায় আমাদের নেতাকর্মীর ওপর চাপানো হচ্ছে।”
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “দুর্নীতি ও অপশাসনের জন্য এদের পরিণতি হবে হীরক রাজার মতো। জনগণ দড়ি ধরে টান দেয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে। আল্লাহও জালেম, অত্যাচারী ও অবৈধ সরকারকে পরীক্ষা করছে। তারা কত খারাপ কাজ করতে পারে, কত দুর্নীতি করতে পারে। যেদিন দড়ি ধরে টান দেবে সেদিন কিন্তু খান খান হয়ে যাবে।”
সম্প্রতি সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “মহানবী (সা.) ও হজ নিয়ে কটূক্তিকারীকে সরকার জামিনে মুক্ত করে দিয়েছে। জনরোষের ভয়ে তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরকারের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী সদস্যেরও একই অবস্থা হবে।”
তিনি সরকারি দলের লোকজন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন অতি উৎসাহী সদস্যদের পালানোর জায়গা ঠিক করার পরামর্শ দেন। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, “কোথায় যাবেন? পালানোর জন্য জায়গা ঠিক করে রাখুন। জনগণ আজ জেগে উঠেছে। সাবধান হওয়ার এখনই সময়।”
তিনি বলেন, “আপনারা যে অপকর্ম করেছিলেন সেদিন বুঝবেন যেদিন আপনাদের বিচার হবে।”
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকারি দলের লোক প্রকাশ্যে খুন করলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পচা গম আমদানি করে সাধারণ মানুষদের তা আটা বানিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে।
এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের সভাপতিত্বে এতে ২০ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, ড. মাহবুব উল্লাহ, ড. মাহফুজ উল্লাহ প্রমুখ।
ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই