সরকারী দখলে সাঈফের সম্পত্তি

এবছর ভাগ্যটা বেশ মন্দা যাচ্ছে সাঈফ আলী খানের। পদ্ম সম্মানের পর এবার পৈতৃক সম্পত্তি হারাচ্ছেন ছোট নবাব। সম্প্রতি ভোপাল এস্টেট নিয়ে মধ্যপ্রদেশের সরকারের সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়েছে পতৌদি পরিবার।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোপালের এই এস্টেটি সরকারি জমির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তা মানতে নারাজ নবাব পরিবার। সেকারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বর্তমান নবাব সাঈফ।

পতৌদিও এই এস্টেটের মধ্যে রয়েছে প্যালেস, কিছু বাড়ি ও কৃষিজমি। ১৯৬১ সালে এই বিশাল এস্টেটের মালিকানা গ্রহণ করেন সাঈফের দাদী সাজিদা সুলতানা। সম্পত্তিটি তার আগে ছিল ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লা খানের অধিকারে। সাজিদা তাঁর দ্বিতীয় সন্তান। হামিদুল্লার মৃত্যুর পরে সম্পত্তির মালকিন হয় সাজিদা। আর সাজিদার সঙ্গে বিয়ে হয় ইফতিকার আলির সঙ্গে। ইফতিকার ছিলেন পতৌদি পরিবারের অষ্টম সন্তান। আর এই সূত্র ধরে এই বিশাল সম্পত্তির মালিক এখন সাইফ আলী খান।
১৯৬৮ সালে তৈরি একটি বিশেষ আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের পর মহারাজা বা নবাবদের সম্পত্তি রাজ্য সরকারের মালিকাধীন হয়ে যাবে। আর এই আইন অনুসারে নবাবদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ভারতীয় সরকার। এই সূত্র ধরেই সরকার পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘ভারত স্বাধীন হওয়ার পর মহারাজা ও নবাবদের সম্পত্তি আইন অনযায়ী সরকারের অধীনে চলে আসা উচিত। তাই নবারের এই সম্পত্তি সরকারের প্রাপ্য’।

তবে নিজের অধিকার হাতছাড়া করতে নারাজ সাইফ। তাই চলছেন আইনের পথে, হয়েছেন আদালতের সরনাপন্ন। অবশ্য এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ বেশ কিছু আইনি জটিলতা কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আদালতকে। আর সবচেয়ে বড় কথা- ভারতের অন্যান্য নবাব পরিবার যদি তাদের সম্পত্তি সরকারকে দিয়ে থাকেন, তবে সাঈফ আলী খান দেবেন না কেন? কান কথায় শোনা যাচ্ছে, সম্পত্তি বেদখল হচ্ছে জেনেও শেষ চেষ্টা করছেন ছোট নবাব।



মন্তব্য চালু নেই