সরকারি গুদাম থেকে ১১ হাজার বস্তা সার গায়েব
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি গুদাম থেকে প্রায় ১১ হাজার বস্তা ইউরিয়া সার গায়েব হয়ে গেছে। ঘটনাটি জানার পর কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ গোপনে তদন্ত করলেও কারও সাজা হয়নি।
শুক্রবার এই খবর ফাঁসের পর ঘটনাটি আবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কালীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন গুদামটি পরিদর্শন করেছেন।
শাহানাজ পারভীন জানান, গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা তাকে জানিয়েছেন, তিন মাস আগে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন-বিসিআইসির একটি দলও এ বিষয়ে তদন্ত করেছে। কিন্তু তাদের প্রতিবেদনে কী আছে তা জানানো হয়নি। কারও শাস্তিও হয়নি। তবে ওই তদন্তে কারা জড়িত তাও চিহ্নিত হয়নি।
গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, তিনি তিন মাস আগে যোগ দিয়েই ৫৪৭ মেট্রিন টন বা ১০ হাজার ৯৪০ বস্তা সার কম পেয়েছেন। যার বাজারমূল্য এক কোট ৮৬ লাখ টাকা।
প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, গত এপ্রিলে সার গায়েব হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে বিসিআইসির তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল। কিন্তু সেই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। অভিযোগ উঠেছে দায়ী ব্যক্তিদের বাঁচানোর জন্য বিসিআইসি তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার বিসিআইসির ২১৫ জন তালিকাভুক্ত ডিলার কালীগঞ্জের এই গুদাম থেকে সার নিয়ে থাকে। সার পরিবেশকদের অভিযোগ, গুদামের কর্মকর্তাদের নানা দুর্নীতির কারণে বরাবর ভুগেছেন তারা।
মন্তব্য চালু নেই