সরকারই অভিজিৎকে হত্যা করেছে: খোকা

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বর্তমানে ১৪ দল নেতা মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশেই শেখ হাসিনার সরকার মুক্তমনার ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মোহাম্মদ নাসিম যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং সর্বহারাদের সাথে আপোষ করে তাদের জেলখানা থেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাদের সাথেই মোহাম্মদ নাসিমের যোগাযোগ ছিলো। নাসিমের নির্দেশেই সেই সব দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অভিজিৎকে খুন করে বর্তমান আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত ষড়যন্ত্র করছে সরকার।

রবিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের কাবাব কিং রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র যুবদল আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি, তার কার্যালয়ে তল্লাশির অনুমতি এবং সারাদেশে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, জেল- জুলুম ও গুমের প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, অভিজিৎকে হত্যার উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চিমাদের বুঝানো যে বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান হয়েছে। সেই কারণেই সংখ্যালঘু এবং ইসলাম বিদ্বেষী অভিজিৎকে টার্গেট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার জন্য বাংলাদেশের আদালতকে ব্যবহার করছে। যে কারণে আদালতের মাধ্যমে বেগম জিয়ার গুলশানের কার্যালয় তল্লাশি করার আদেশ নিয়েছে। আইয়ুব, ইয়াহিয়া এবং সর্বশেষ এরশাদকে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় জানিয়েছিলাম কিন্তু জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এমন সরকার দেখিনি।

খোকা বলেন, সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য বিচারালয়কে জুলুমের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।

যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে এবং রেজাউল আজাদ ভুইয়া ও শেখ হায়দার আলীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, ঢাকা মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন, যুবদলের সহ-সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার খান বাবু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, সালেহ আহমেদ মানিক, কানেকটিকাট বিএনপির সভাপতি এম এ বাসিত, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সভাপতি রাফেল তালুকদার, বিএনপি নেতা জাফর তালুকদার, এবাদ চৌধুরী, আবুল হাশেম শাহদাত প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম মাহমুদ, সোয়েব চৌধুরী, জাহিদ খান, কাজী আমিনুল হক স্বপন, আফরোজা বেগম রোজি, হামিদুর রহমান হামিদ, মজিবুর রহমান, মাসুক আহমেদ, ইকবাল হায়দার, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই