সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ৫টি সহজ উপায়

বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্বি আমি তোমাকেই চাই। ছেলেটা বলেছিল, “”আমার জীবনে তোমার থাকাটা দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। `’ কলেজ ফিরতি ট্রামে বসে টেস্টটা টিং-টিং করে উঠতেই সব যেন চুরমার হয়ে গেল। অনেক ভেবেও মেয়েটা এর কোনও উত্তর খুঁজে পেল না। একটা সম্পকের্র ইতি।

বছর ঘুরল। এরপর দু`জনের জীবনে কত মানুষ এল গেল। কিন্তু সময়ের আলেখে দুজনেই কোথায় যেন অনুভব করল, জীবনের মস্ত ভুলটা ঘটিয়ে ফেলেছে। বিনিদ্র রাত, গাঁজা খাওয়া, সবই বাড়তে থাকল। ছেলেটা মোবাইল ঘেঁটে পুরনো নম্বরটা বের করলেও তিন দিন হয়ে গেল একটা হাইব্রিড ল্যাক্সগুয়েজও টাইপ করে উঠতে পারেনি। পাঁচ তলা অফিসের কাঁচের জনলাটা দিয়ে বৃষ্টি নেমে এলেও মেয়েটি এখনও অপেক্ষায়। “”ওতো পারত একবার ঝঙজজণ লিখতে! তাহলেই সব রাগ গলিয়ে দিতাল। “

অনেক পুরনো সম্পর্ক নতুন করে গড়ে তুলতে হলে যেটা দরকার, সেটা হল খানিকটা সময়। মনোবিদরা বলছেন, ৫টা জিনিস করলে আর দু`পক্ষ নিজেদের গোঁ হাইড্রেনে ভাসিয়ে দিতে পারলেই কিন্তু ভেঙে যাওয়া কাঁচ জোড়া লাগানো সম্ভব।

যোগাযোগ: আরে বাবা, কী হবে না হবে এসব ভুলে একবার ফোনটা করেই দেখুন না। একে অপরের সঙ্গে যতটা বেশি কথা বলবেন, দেখবেন সব সহজ হয়ে যাচ্ছে। অতীতে যে যে কারণে ভাঙন ধরেছিল সেগুলো শুধরাতে কথা বলা সাহায্য করবে। তবে হ্যাঁ, যখন কথা বলবেন নিজের পুষে রাখা রাগগুলো সব ঝেড়ে কাষবেন একে অপরের সামনে। কিন্তু দোষ ধরা যাবে না। আসলে পরিস্থিইতি যাতে আরও ঘেঁটে না যায়, তার জন্যইতো সাহস করে কথা বলে উঠতে পারেননি। তাই নিজের ইগো গুলোকে গোবিন্দপুরে রেখে এসে কথা বলুন দেখা করুন।

সময় দিন: নতুন করে পুরনো সম্পর্ক ফিরে পেতে যেটা দরকার একটু বেশি মনোযোগী হওয়া। সম্পর্কটা নিয়ে। ট্যাগ লাইন হিতে পারে- “সম্পর্ক সারাতে সময়’। পেশাদারিত্ত আর উদাসীনতা দূরে সরিয়ে মন দিন আপনার সঙ্গীর প্রতি। কাজের ফাঁকে এক আধটা এস এম এস। কিংবা হঠাৎ অফিস থেকে ফিরে সিনেমায় চলে যাওয়া। এই সব। বিস্তারে বলার দরকার আছে কী? আপনার সঙ্গীকে ছাড়া যেতে হবে এমন সব সামাজিক অনুষ্ঠান কদিন বাদ দিনতো।

ডেটিং: হ্যাঁ। নতুন করে পকেট হালকা করতে হবে। ডেটিংয়ে যান। একবার যদি বুঝতে পারেন এর ওর পেছনে ছোটার থেকে দু`জনে একসঙ্গে থাকলেই নিরাপদ। তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কার্যকরি হতে পারে ডেটিংয়ে যাওয়া। আপনার শহরের অচেনা জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন দু`জনে। না বাড়িতে বসে নেট ঝাপা সিনেমা নয়। যেতে হবে হলে কিংবা ডিনারে। সম্পকের্র একঘেয়েমি কাটাতে এগুলো সাহায্য করবে।

সেক্স: মনবিদরা বলছেন, মনের কথা একন্তা ঘনিষ্ট হওয়া এসব দু`জনের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর জন্য মূল অভিযুক্ত। তা হলে আর কী, দিন তাঁকে শুলে চড়িয়ে। না না সঙ্গীকে শুলে চড়াতে বলিনি। মনোবিদদের মতে, যত বেশি যৌন সম্পর্ক স্থাপন হবে তত দু`জনের মধ্যে একাত্ততা বাড়বে। যদি সম্পর্ক ফিরে দাঁড় করাতে হয়, তাহলে সময় এবার নিজেদের যৌন জীবন নিয়ে একটু বেশি ভাবার। বৈচিত্র আনতে হবে যৌনতাতেও।

শোনার ধৈর্য্য তৈরি করুন: একতরফা বকবক নয়। এবার একটু শোনার মানসিকতা তৈরি করুন। আপনি যদি চান আপনাকে সে গুরুত্ব দিক, তাহলে প্রয়োজন আপনারও তাঁকে একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আপনার একতরফা বয়ান বার্তা শুরু করার আগে প্রয়োজন সে কী বলতে চায় সেটা শোনার। ও একটু বোঝার। তার কী মত সেটা না জেনেই একতরফা ফয়সালা শোনানোর গোঁ থাকলে ত্যাগ করতে হবে সেটাকেও। আপনার মনের যে সব কৌতুহল, সময় দিলে দেখবেন আপনার সঙ্গী ধীরে ধীরে তার উত্তর দিতে শুরু করেছে।



মন্তব্য চালু নেই