সমাবেশের অনুমতি চাইতেই থাকবে বিএনপি: ফখরুল

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহের স্মরণে সমাবেশের আবেদন করে দুইবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও সমাবেশের চিন্তা ছাড়েনি বিএনপি। আগামী ১৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরপরও যদি অনুমতি না মেলে তারপর আবারও অনুমতি চেয়ে আবেদন করার কথা জানান ফখরুল। দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ফখরুল বলেন, অনুমতি দেয়া না দেয়ার বিষয়টি তাদের বিষয়। অনুমতি না দিলে আমরা আবেদন করতেই থাকবো।

৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীতে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর জওয়ানদেরকে ব্যবহার করে সেদিন জাসদ বিপ্লবের চেষ্টা করেছিল। অসংখ্য সেনা কর্মকর্তা হত্যার পর আটক জিয়াউর রহমানকে মুক্তও করেছিল জওয়ানরা। কিন্তু জাসদের হাত থেকে পরে কথিত বিপ্লব হাতছাড়া হয়ে যায় এবং গোটা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ চলে আসে জিয়াউর রহমানের হাতে।

পরে সামরিক শাসক জারির পর জিয়াউর রহমান হয়ে যান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক। পরে রাষ্ট্রপতিও হন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা সেনা-কর্মকর্তা হত্যার স্মরণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিবসটিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। আর এই দিনে কাউকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা।

দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে ঢাকা মহানগর পুলিশ ৭ ও ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউকে সমাবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বিএনপি ৮ নভেম্বর দলীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশের পরিকল্পনার কথা জানায়। কিন্তু এই অনুমতিও পায়নি ‍বিএনপি।

এই অবস্থায় ডাকা সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করবো। কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’ তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলছি গণতন্ত্রকে নিজস্ব ধারায় চলতে দিন। আপনারা সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না।’

আবারও যদি পুলিশ অনুমতি না দেয় তাহলে?- জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে আপনাদের পরবর্তীতে তা জানানো হবে।’



মন্তব্য চালু নেই