সমকামী কলেজ ছাত্রী বোড় বোনের সাথে যৌনসম্পর্ক করতে চাওয়ায় বোন একি করলো…

নিজের তুতো দিদি এবং বোন যে এমনটা করতে পারে, তা ভাবতে পারছে না পঞ্জাবের করনালের বেলা থানা। যখন দরজা ভেঙে কারনালের একটি গার্লস স্কুলের হস্টেলের ঘর থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর দেহটি বের করা হচ্ছিল, তখনও এই ঘটনার পিছনের কারণ আঁচ করতে পারেনি পুলিশ। মনে হয়েছিল, কোনও মানসিক হতাশা থেকেই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়েছিলো।

এই মৃত্যুর পিছনের চাঞ্চল্যকর তথ্যটি সামনে আসে যখন আত্মঘাতী ছাত্রীর দিদিকে পুলিশ জেরা করতে শুরু করে। জানা যায়, পানিপথের একটি গ্রামের একই পরিবারের কয়েকজন মেয়ে কারনালের এই গার্লস হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। আত্মঘাতী ছাত্রী দুই তুতো দিদি

এবং বোনের সঙ্গে হস্টেলের একটি ঘরে থাকত। দিদি স্নাতকস্তরের ছাত্রী। সমবয়সি বোন একাদশ শ্রেণিতেই পড়ে। কিন্তু, বাড়িতে ফিরে দিদি ও বোনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছিল আত্মঘাতী ছাত্রী। সে নাকি বাড়িতে জানিয়েছিল, দিদি এবং সমবয়সি বোন সারাক্ষণ তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনকী, তাদের সঙ্গে যৌন খেলায় অংশ না নিলে অত্যাচার করে। বাড়ির লোক প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চায়নি। কিন্তু, আত্মঘাতী ছাত্রী বারবার এই অভিযোগ করতে থাকায় বিষয়টি হস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এর পরেই, ওই ছাত্রীকে হস্টেলের অন্য একটি ঘরে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘরে ওই আত্মঘাতী ছাত্রীর নিজের দিদি থাকত। কিন্তু, নিজের দিদির সঙ্গে একই ঘরে থাকলেও তুতো দিদি এবং বোনের অত্যাচার কমেনি। অভিযোগ রাতদিন হুমকি দিত তারা।

বোন তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছিল বলে জানিয়েছেন দিদি। কিন্তু, সে এভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে তা পরিবারের কেউ ভাবতে পারেনি। এই ঘটনার পরে কারনালের ওই হস্টেল কর্তৃপক্ষ আত্মঘাতী ছাত্রীর পরিবারের কোনও অভিযোগ গ্রহণ করতে চায়নি। পুলিশ অবশ্য আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ অভিযুক্ত দিদি এবং বোনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।



মন্তব্য চালু নেই