সব দোষ তবে মেসির!

প্রথমার্ধ সাইডলাইনে বসিয়ে রাখা হয়েছিল আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে। শুধু মেসি কেন, তার সঙ্গে সাইড লাইনে বসে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান দুই সুপারস্টার নেইমার এবং দানি আলভেজও। জর্দি আলবার আত্মঘাতি গোলে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার যে ধাক্কা সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে দ্বিতীয়ার্ধে মেসি-নেইমারকে মাঠে নামানো হলেও কোন লাভ হয়নি।

বরং, ম্যাচ শেষে রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে ১-০ গোলে হারের কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে কোচ লুই এনরিকে মেসির ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন। বললেন, ‘মেসির গোল মিসের কারণেই হারতে হয়েছে বার্সাকে।’

বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বলা যায় সর্বশেষ ২৫ ম্যাচে একদলকে টানা দুই ম্যাচে খেলিয়েছেন লুইস এনরিকে- তেমন নজির নাই। তারই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে গিয়ে এভাবে হেরে যাওয়া। আর ম্যাচ শেষে মেসি-নেইমার-দানি আলভেসকে কেন প্রথমার্ধে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে এনরিকে বলেন, ‘লাতিন আমেরিকায় দীর্ঘ ছুটি কাটানোর কারণে তারা পর্যাপ্ত পরিমানে অনুশীলন করতে পারেনি। এ কারণে তাদের মাঠে নামিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইনি।’

স্বল্প অনুশীলনের দোহাই দিয়ে মেসি-নেইমারকে বসিয়ে রেখে বেশ ভালোভাবেই এর মূল্য দিতে হয়েছে। ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারের কারণে যখন রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলার সুযোগ তৈরী হয়েছিল, তখন রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে হেরে সে সুযোগ হারাতে হলো বার্সেলোনাকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মুনির এল হাদ্দাদির পরিবর্তে মেসিকে মাঠে নামান কোচ। এরপর ৫৮ মিনিটে পেদ্রোর পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় নেইমারকে। কিন্তু ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া সোসিয়েদাদ ততক্ষণে নিজেদের রক্ষণভাগকে পরিণত করে শিশাঢালা প্রাচীরের মত। সুতরাং এই প্রচীর শত চেষ্টা করেও আর ভাঙতে পারেননি মেসি-নেইমাররা।



মন্তব্য চালু নেই